রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সৌদি প্রিন্সের বৈঠক; আলোচনায় ওপেক+ ও ফিলিস্তিন ইস্যু
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ সম্প্রতি সৌদি আরব সফর করেছেন। সফরকালীন সময়ে তিনি সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাতের বিষয়টি গতকাল (সোমবার) নিশ্চিত করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত, পারস্পরিক জ্বালানি সহায়তা ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ওপেক+ এর ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়টি। এক্ষেত্রে দুই পক্ষই অগ্রগতি নিয়ে নিজেদের সন্তুস্তি প্রকাশ করেছে।
এদিকে সালমান-ল্যাভরভের এই বৈঠকের আগে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান ও ল্যাভরভের মধ্যে আরেকটি বৈঠক হয়। সেখানে তারা বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করেন। এ ছাড়া দুই বৈঠকেই রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর পারস্পরিক ইচ্ছার কথা তুলে ধরেন নেতারা।
আলোচনার সময় কূটনৈতিক সম্পর্ক গভীর এবং অভিন্ন স্বার্থের ইস্যুতে খোলামেলা সংলাপ বজায় রাখার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন নেতারা। যা দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্বের বিষয়টিকে সামনে নিয়ে আসে।
এদিকে রাশিয়া-জিসিসি (গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিল) স্ট্র্যাটেজিক ডায়ালগের সপ্তম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের আগে ল্যাভরভ জিসিসি মহাসচিব জাসেম মোহাম্মদ আলবুদাইয়ির সঙ্গেও বৈঠক করেছেন।
উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকায় অবস্থিত ১৩টি তেলসমৃদ্ধ দেশ নিয়ে গঠিত হয় অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক)। পরবর্তী সময়ে ২০১৯ সালে এর সঙ্গে তেল উৎপাদনে শীর্ষস্থানীয় রাশিয়া এবং অন্যান্য দেশ যুক্ত হয়ে গঠিত হয় ওপেক প্লাস।
তেলের বাজারে 'কেন্দ্রীয় ব্যাংক' খ্যাত ওপেক নিয়মিত ও জরুরি বৈঠক করে সারা বিশ্বে তেলের দাম ও উৎপাদন স্তরের নীতিগুলো সমন্বয় করে। কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্ববাজারে যখন জ্বালানি তেলের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী, তখন তেলের উৎপাদন কমানোর মতো বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সংগঠনটি।
অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান