আগামী পাঁচ বছরে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের খরচ বাড়বে দিগুণেরও বেশি!
বর্তমানে চ্যাটজিপিটি প্লাস সংস্করণ ব্যবহারের জন্য প্রতি মাসে ২০ মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই ফি বাড়িয়ে ২২ ডলার করবে এর মালিকানাধীন কোম্পানি ওপেনএআই।
এমনকি ২০২৯ সালে চ্যাটজিপিটি প্লাসের মাসিক সাবক্রিপশন ফি বেড়ে ৪৪ ডলার নির্ধারণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। অর্থাৎ আগামী পাঁচ বছরে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের খরচ বাড়বে দিগুণেও বেশি।
কোম্পানিটির অভ্যন্তরীণ নথির বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। এক্ষেত্রে ওপেনএআইয়ের মাসিক আয় গত আগস্ট মাসে ৩০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। যা কি-না গত বছরের শুরুর থেকে ১ হাজার ৭০০ শতাংশ বেশি।
এদিকে চ্যাটজিপিটি'র ব্যবহারকারীর সংখ্যা গত এক বছরে দ্বিগুণ বেড়েছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি গত মাসে জানায়, চ্যাটজিপিটির বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে ২০০ মিলিয়নের বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে।
জেনারেটিভ এআই চ্যাটবটের মধ্যে বর্তমানে চ্যাটিজিপিটির অবস্থান শীর্ষে থাকলেও এ ক্ষেত্রটি খুব প্রতিযোগিতামূলক। অন্যান্য বড় প্রযুক্তি কোম্পানিও তাদের নিজস্ব চ্যাটবটকে নিয়মিত আপডেট দিয়ে বাজারের শীর্ষ অবস্থান পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ওপেনএআই জানিয়েছে, ফরচুন ৫০০ (ফরচুন ম্যাগাজিন থেকে প্রকাশিত শীর্ষ ৫০০ মার্কিন প্রতিষ্ঠানের তালিকা) এর অন্তর্ভুক্ত ৯২ শতাংশ প্রতিষ্ঠান বর্তমানে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করছে। জিপিটি—৪.০ বাজারে আসার পর প্রতিষ্ঠানটি স্বয়ংক্রিয় অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (এপিআই) ব্যবহার দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির সিইও স্যাম অল্টম্যান বলেন, "মানুষ এখন আমাদের টুলগুলো (জেনারেটিভ এআই টুল) দৈনন্দিন জীবনের অংশ হিসেবে ব্যবহার করছে, যা স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা ক্ষেত্রেও বাস্তব পরিবর্তন আনছে। চাহিদামতো কাজ সম্পন্ন করা, কঠিন সমস্যার সমাধান করা বা সৃজনশীলতা উন্মুক্ত করতে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে।"
ওপেনএআইকে বর্তমানে মাইক্রোসফট, গুগল এবং মেটার মত বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে। সবগুলো প্রতিষ্ঠানই গ্রাহক ও ব্যবহারকারীদের কাছে নিজেদের চ্যাটবটগুলো জনপ্রিয় করতে আগ্রহী।
২০১৫ সালে ইলন মাস্ক, পিটার থিয়েল ও লিংকডইনের প্রতিষ্ঠাতা রেইড হুফম্যানের মতো হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিদের সহযোগিতায় ওপেনএআই প্রতিষ্ঠা করেন অল্টম্যান। পরবর্তীতে মাত্র ৩৮ বছর বয়সী এই প্রযুক্তিবিদের হাত ধরেই কোম্পানিটি শক্তিশালী 'আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টিলিজেন্স সিস্টেম' তৈরি করে।
অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান