ইসরায়েলে ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্রের চালান পাঠানোর পরিকল্পনা বাইডেনের
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর কংগ্রেসকে ইসরায়েলের জন্য ৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। এই বিক্রি চুক্তি অনুমোদনের জন্য হাউস এবং সিনেট কমিটির অনুমতি প্রয়োজন। প্রস্তাবিত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে মিসাইল, গোলা এবং অন্যান্য যুদ্ধ সরঞ্জাম। খবর বিবিসির।
এই পদক্ষেপ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই সপ্তাহ আগে নেওয়া হলো। গাজার যুদ্ধে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পরও ইসরায়েলের প্রতি সামরিক সহায়তা বন্ধের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে ওয়াশিংটন।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত অস্ত্র বিক্রির মধ্যে রয়েছে এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল, হেলফায়ার মিসাইল, আর্টিলারি শেল এবং বোমা। বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে এই সহায়তার কথা বলেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ইসরায়েলের প্রধান অস্ত্র আমদানির ৬৯ শতাংশ এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।
বাইডেন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত তার মেয়াদের শেষ দিকে নেওয়া কয়েকটি নীতিগত পদক্ষেপের একটি। ধারণা করা হচ্ছে, এটি বাইডেনের মেয়াদের শেষ বড় অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা। আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেবেন।
বাইডেনের মতো ট্রাম্পও ইসরায়েলের প্রতি তার দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেছেন, তবে গাজার সামরিক অভিযান দ্রুত শেষ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ইসরায়েল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। ওই হামলায় প্রায় ১,২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জন বন্দী হন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এরপর থেকে অঞ্চলটিতে ৪৫ হাজার ৫৮০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।