দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টায় নিরাপত্তা বাহিনীর বাধা, অভিযান স্থগিত
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বাসভবনে ঢুকে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) তদন্তকারীরা প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারের জন্য তার বাসভবনে প্রবেশ করতে চাইলে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সামরিক বাহিনীর সদস্যের বাধার মুখে পড়তে হয় তাদের।
এই সপ্তাহের শুরুতে, সিউলের একটি আদালত তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিদ্রোহে উসকানির অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। তবে ইউনের আইনজীবী দল এই পরোয়ানাকে 'অবৈধ এবং অকার্যকর' বলে দাবি করেছে।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর হলে, ইউন হবেন পদে থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার হওয়া দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট।
স্থানীয় সময় সকাল ৭টার কিছু পরে দুর্নীতি তদন্ত দপ্তর (সিআইও)-এর কর্মকর্তারা পুলিশের সহায়তায় প্রেসিডেন্টের বাসভবনের প্রধান ফটকে প্রবেশ করেন। কিন্তু সেখানে উপস্থিত প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা বাহিনী এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের আটকায়।
শুক্রবার ভোরে ইউনের বাসভবনের কাছে শত শত সমর্থক জড়ো হয়ে গ্রেপ্তার রোধের অঙ্গীকার করেন। তারা স্লোগান দেন, 'প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে জনগণ রক্ষা করবে।'
প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ২০০ সদস্য মানবঢাল তৈরি করে সিআইও কর্মকর্তাদের প্রবেশে বাধা দেয়। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সেনাবাহিনীর সদস্যরা প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা বাহিনীর অধীনে ছিল।
দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে সিআইও অভিযান স্থগিত করে জানায়, তাদের সদস্যদের নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে প্রেসিডেন্টের অসহযোগিতায় দুঃখ প্রকাশ করে তারা। সিআইও আরও জানায়, তারা গ্রেপ্তারের পরবর্তী পদক্ষেপ বিবেচনা করবে।
ইউনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মেয়াদ ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তবে তার আইনজীবীরা দাবি করেছেন, সিআইওর এ ধরনের মামলার তদন্ত করার অধিকার নেই এবং এই পরোয়ানা অবৈধ।
ইউনের দল 'পিপল পাওয়ার পার্টি'র অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান এ গ্রেপ্তার প্রচেষ্টা স্থগিত হওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তদন্ত যেন গ্রেপ্তার ছাড়াই পরিচালিত হয়।
গ্রেপ্তার হলে ইউনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের জন্য সিআইওর হাতে মাত্র ৪৮ ঘণ্টা সময় থাকবে। এরপর তাকে আটক রাখার জন্য নতুন পরোয়ানা চাওয়া অথবা মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।