নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার হতে পারেন দ. কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইউল
উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তকারী দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা– করাপশন ইনভেস্টিগেশন অফিসের প্রধান ওহ ডং উন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অভিশংসিত হওয়া ইউন সুক-ইউলকে গ্রেপ্তারের আদেশ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কার্যকর করা হবে। আগামী সোমবার এই আদেশ পালনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'কোনোপ্রকার বাধা ছাড়াই আমরা তাঁকে গ্রেপ্তারের আশা করছি। তবে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আমরা পুলিশ ও কর্মীদের প্রস্তুত রাখছি।' ইউনকে গ্রেপ্তারের সময় কেউ বাধা সৃষ্টি করলে— আইনানুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
'গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বাস্তবায়ন ঠেকাতে কোনো ধরনের ব্যারিকেড দেওয়া বা লোহার দরজা বন্ধ করে রাখাকে সরকারি কাজে বাধা প্রদান হিসেবে গণ্য করা হবে' – আরও বলেন ওহ ডং উন।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট ইনভেস্টিগেশন হেডকোয়ার্টার্স ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়েছিল, যা সিওলের একটি আদালত মঞ্জুরও করেন। এরপর থেকেই কখন ও কীভাবে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে– এনিয়ে নানান গুঞ্জন চলছে দেশটির জনপরিসরে।
ইউন বর্তমানে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদেই অবস্থান করছেন। এর আগে তাঁর নিরাপত্তা কর্মীরা তদন্তকারীদের তল্লাশি অভিযানে বাধা দেন। তাঁদের কাছে তল্লাশির পরোয়ানা থাকার পরেও বাধার মুখে বেশ কয়েকবার ফিরতে হয় তদন্ত কর্মকর্তাদের। এই অবস্থায়, দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত খবরে বলা হয়েছে, ইউনের দেহরক্ষীদের সাথে কোনোপ্রকার আপোষ না করেই তাঁকে বলপ্রয়োগ করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা সম্ভবত করা হবে না।
তবে যদি গ্রেপ্তার হন, তাহলে তিনিই হবে দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথম প্রেসিডেন্ট যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অভ্যুত্থানের অভিযোগ আনা হয়েছে। যা প্রমাণিত হলে আজীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। গত ৩ ডিসেম্বর হঠাৎ করে সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইউন। যা কয়েক ঘণ্টা পরেই ভোটাভুটির মাধ্যমে বাতিল করে দেশটির পার্লামেন্ট। এরপর থেকেই দক্ষিণ কোরিয়া গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।