করোনা ঝুঁকির মধ্যেই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দায়িত্ব পাওয়া প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং এবং পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
শুক্রবার প্রথমদিনের প্রশিক্ষণ আগ্রাবাদ খাঁজা আজমেরি উচ্চ বিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে। ঝুঁকির মধ্যে প্রশিক্ষণ শুরু করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
করোনা আতঙ্কে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক না করে ফিরে গেলেও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ঝুঁকির মধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এবার চসিক নির্বাচন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে অনুষ্ঠিত হবে। সিটি নির্বাচনে ৭৩৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার, চার হাজার ৮৮৬ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৯ হাজার ৭৭২ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।
ভোটগ্রহণেরর দায়িত্ব পাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ওবাইদুল্লা বলেন, যেখানে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ সেখানে আমাদের এনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কমিশন আমাদের ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। সবার জন্য এক নিয়ম হলেও আমাদের জন্য ভিন্ন।
চট্টগ্রামের খাদ্য পরিদর্শক মহিউদ্দিন বলেন, সারাদেশ সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে। সেখানে চসিক নির্বাচন কোন যুক্তিতে চলছে বুঝতেছি না। শুক্রবার সকাল থেকে প্রশিক্ষণে যোগ দিয়েছি।
নির্বাচন কমিশন বলছে, যেহেতু ভোটগ্রহণ স্থগিতের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই রুটিন কাজগুলো হচ্ছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, নির্বাচনের আগে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নিয়ম অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দিতে হয়। এবারও হচ্ছে। নির্বাচন স্থগিতের বিষয় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই নিয়মিত কাজগুলো করা হচ্ছে।
আগামী ২৯ মার্চ চসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।