‘মধ্যযুগে বাস করছি নাকি! দু’জন মানুষ কাছাকাছি আসতে পারে না?’, ক্ষুব্ধ ললিত
সুস্মিতা সেন ৪৬, আর ললিত মোদী ৫৬। তাই বলে পরস্পর কাছাকাছি আসতে পারবেন না? এই বয়সে মনের মিল হতে পারে না? তাদের রসায়ন নিয়ে লোকজন এত হাসাহাসি করছে কেন? এবার সে প্রশ্নই তুললেন ক্ষুব্ধ ললিত।
সুস্মিতার সঙ্গে সদ্য মালদ্বীপ সফর থেকে ফিরে গর্জে উঠলেন প্রাক্তন আইপিএল প্রতিষ্ঠাতা। লিখলেন, 'আমরা কি এখনও মধ্যযুগে বাস করছি? দু'জন মানুষ বন্ধু হতে পারে না? সময় ভাল কাটলে তাদের মধ্যে ম্যাজিক কাজ করতে পারে না? মিডিয়া আমাদের এইভাবে ট্রোল করছে কেন? আমার উপদেশ হল, আপনারা নিজেরা বাঁচুন এবং অন্যদের বাঁচতে দিন। সঠিক খবর লিখুন, গসিপ নয়। তথ্য যদি সঠিক না জানেন, আমায় বলুন, আমি বলে দিচ্ছি। মিনাল মোদী আর আমি ১২ বছরের বিবাহিত জীবনে সেরা বন্ধুত্বে ছিলাম। তিনি আমার মায়ের বন্ধু ছিলেন না। এই কথাটা কেন রটেছে জানি না! তবে এই ধরনের বিকৃত মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসার সময় হয়েছে। আসলে যখন কারও ভাল হয়, বাকিরা সহ্য করতে পারেন না।'
ললিত আর সুস্মিতা যে সম্পর্কে জড়িয়েছেন সে কথা ১৪ জুলাই ঘোষণা করেছিলেন তিনি। একসঙ্গে ছবি দিয়ে ললিত ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, এই সম্পর্ক বিয়ে অবধি গড়াতে পারে। তার পরপরই যুগলের মালদ্বীপ সফরের একগুচ্ছ ছবি সামনে আসে।
সুস্মিতাকেও যে অনেকে ঘৃণার চোখে দেখছেন এ কথা অজানা নয় ললিতের। লোকে তাকে অপরাধী ভাবে, তিনি কলঙ্ক নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন— এমন নানা বিষয় নিয়েও সম্প্রতি সোচ্চার হলেন ললিত।
লিখেছেন, 'কে বলে আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি? আমি সব সময় মাথা উঁচু রেখেছি। আপনারা আমায় পলাতক বলুন, আসামি বলুন, তবে কখন কোন আদালত আমায় দোষী সাব্যস্ত করেছে সেটা বলতে পারবেন? বলুন দেশের আর একজনও এমন সুন্দর কিছু বানিয়ে মানুষকে উপহার দিয়েছে? কিন্তু আমি পেরেছি। সবটা একা করেছি। সেই সঙ্গে বলি, হীরের চামচ মুখে দিয়ে জন্মেছি আমি! আমায় ঘুষ নিতে হয় না। আমি যখন বিসিসিআইতে যোগদান করি তখন ব্যাঙ্কে ৪০ কোটি রূপি ছিল। ২০০৫ সালে আমি আমার জন্মদিনে, ২৯ নভেম্বর কাজে যোগ দিয়েছিলাম। জানেন আমাকে নিষিদ্ধ করার সময় ব্যাঙ্কে কত ছিল? ৪৭,৬৮০ কোটি রূপি। আমি কোথা থেকে শুরু করব কেউ ভেবেছিল?'
- সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা