নড়াইলে কলেজ শিক্ষক হেনস্তার ঘটনায় বিচারিক তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
ধর্ম অবমাননার অভিযোগ উঠিয়ে নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে হেনস্তার ঘটনায় বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
নড়াইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে ফেসবুকে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মার সমর্থনে কলেজের এক হিন্দু শিক্ষার্থীর পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত ১৮ জুন দিনভর নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ, সহিংসতা চলে।
গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয় ওই শিক্ষার্থীর পক্ষ নিয়েছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস।
এরপর পুলিশ পাহারায় বিকেল ৪টার দিকে স্বপন কুমার বিশ্বাসকে ক্যাম্পাসের বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে দাঁড় করিয়ে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয় একদল ব্যক্তি।
শিক্ষক স্বপন কুমার হাত উঁচিয়ে ক্ষমা চাইতে থাকেন। পরে তাকে তুলে নেওয়া হয় পুলিশের গাড়িতে।
মোবাইল ফোনে ধারণ করা এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের সামনে শিক্ষকের এমন অপদস্থ হওয়ার ঘটনায় সারাদেশে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়।
ঘটনার বেশ কয়দিন পর নাশকতা ও শিক্ষককে হেনস্তা করার অভিযোগে মামলা করে স্থানীয় পুলিশ।
শিক্ষকের গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মো. রহমত উল্লাহ রনিকে পুলিশ গ্রেপ্তারের পর তার ছাত্রত্ব বাতিল করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।