আমদানি নির্ভরতাই নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে!
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনীতিবিদ রাহুল আনন্দ বাংলাদেশ সফর করছেন। বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত ঋণের বিষয়ে আলোচনা করার জন্য গত পরশু যে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে তার প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমের কাছে যা তুলে ধরা হয়েছে তা হচ্ছে: বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় তাদের স্বস্তির কথা প্রকাশ করেছেন।
আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে সভায় বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়। সুপারিশগুলোর বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু অধ্যায় রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত হিসাবে তারা দ্বিমত পোষণ করেছে, তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডকে রিজার্ভের বাইরে হিসাবে নিয়ে যেতে বলেছে। অথচ ইডিএফ অবশ্যই বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি বিনিয়োগ হতে পারে কিন্তু তা রিজার্ভ তুল্যই বটে । তারা বাংলাদেশের মুক্তবাজার অর্থনীতির আলোকে ডলারকে বাজারের উপর ছেড়ে দিতে বলেছে।
তারা ব্যাংকের সুদের হার ও বাজারের উপর ছেড়ে দিতে বলেছে। বাংলাদেশের এই বিষয়গুলো আইএমএফ এর অতীত মতামতেরই পুনঃপ্রতিফলন। বর্তমান বৈষয়িক সংকটের সঙ্গে বিষয়গুলোর কোন নতুনত্ব নাই ।যেমন ডলারের বাজার দর বাজারের উপর ছেড়ে দিতে বলা কিংবা সুদের হার বাজারের উপর ছেড়ে দিতে বলা আইএমএফ এর অত্যন্ত পুরনো সুপারিশ।
বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সুপারিশের ফলাফল অত্যন্ত ভয়াবহ সুদের হার বাজার ভিত্তিক করা হলে আমদানি নির্ভর রাষ্ট্রটির আরো ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। ফলে ভোক্তা পর্যায়ে সংকট সৃষ্টি করবে । বাংলাদেশে ডলার টাকা মূল্য নির্ধারণ চিরকালই এক ধরনের সরকারি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা টিকে আছে । ডলারের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে তা উঠিয়ে দেওয়া কখনই বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়।
তাদের আলোচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে তা হচ্ছে বর্তমান বৈষয়িক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ আমাদের জিডিপির মাত্র ১৪.৩ শতাংশ। এই ঋণের পরিমাণ অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক। যদিও আমাদের গণমাধ্যম একটি ভিন্ন তথ্য প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখানো আছে ২১ শতাংশের মতন আমাদের বৈদেশিক ঋণ জিডিপির হিসাবে।
প্রশ্ন থেকে যাবে কে কোন বছরের হিসাব কীভাবে গ্রহণ করেছে, কোন জিডিপি কোন বছরের সাথে হিসাব হয়েছে সেটিও একটি প্রশ্ন?
দেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রে তেমন কোন ঝুঁকি নাই । তবে আই আইফএমএ বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে একটি উপদেশ দিয়েছে। সেই উপদেশটি হচ্ছে, এমন কোন বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ করা উচিত হবে না যা থেকে অর্থনৈতিক রিটার্ন না আসে। এতদিন যে তথ্য আইএমএফ ও অন্যান্য বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলি উল্লেখ করত সেখান থেকে কি তারা সরে আসলো ?
জিডিপির মাত্র ১৪.৩ শতাংশ বৈদেশিক ঋণ থাকা অবস্থায় আমাদের দেশটিকে উপদেশ দিয়েছে আমরা যেন বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে সতর্ক হই। প্রশ্ন হল এতদিন যে প্রচলিত ধারণা ছিল যে, জিডিপির পঞ্চাশ শতাংশের নিচে বৈদেশিক ঋণ থাকলে তা সংকট সৃষ্টি করবে না আর তা যদি হয় দীর্ঘমেয়াদ ও স্বল্প সুদ। সেই ধারণাটা কি বদলে যাচ্ছে?
বৈদেশিক ঋণ ও জিডিপির কোন স্থায়ী হিসেব নাই যে কী পরিমাণ বৈদেশিক ঋণ জিডিপির বিপরীতে গ্রহণ করা যেতে পারে। জিডিপি থেকে বেশি বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ করা যেতে পারে, যদি তার সেই ঋণ ফেরত দেওয়ার সক্ষমতা অর্জিত হয়ে থাকে। এরকম ঘটনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আছে। ঋণ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে আইএমএফ যে সাবধান বাণী উচ্চারণ করেছে তা মূলত বাংলাদেশের বর্তমান আমদানি-রপ্তানি রেমিটেন্স যে হিসাব সেখানে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এই ঘাটতিই হচ্ছে প্রধান সংকট। এই ঘাটতি কাটিয়ে ওঠা বাংলাদেশের কাছে এই মুহূর্তে এক কঠিন পরীক্ষা।
দীর্ঘকালের আমদানি নির্ভর দেশটি রাতারাতি আমদানির উপর লাগাম টানলে সামাজিকভাবে নানান অস্থিরতাই বৃদ্ধি পাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। আমরা অর্থনীতির এমন একটি জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিলাম যে দেশের আনাচে-কানাচে আমদানিকৃত ফলের বাজার গড়ে উঠেছিল। প্রতিবছর কয়েকশো মিলিয়ন ডলারের শুধু ফলই আমদানি করেছি আমরা।
এখন কেবলমাত্র আমদানি নিয়ন্ত্রণ ছাড়া আর কোন বিকল্প নাই আমাদের । দেশের প্রধান রপ্তানি খাত পোশাকশিল্পের মৌলিক কাঁচামাল তুলায় আমরা শতভাগ আমদানি নির্ভর। আর সেই তুলা আমদানির ক্ষেত্রে নানান ধরনের জটিলতা রয়েছে। কৃষি দপ্তরের ফাইটো স্যানিটারি সার্টিফিকেট, যা বহুকালের একটি সংকট তার সমাধান করা হয়নি। আন্তর্জাতিক বাজারের তুলা রপ্তানিকারকরা বাংলাদেশের বন্দরে তাদের তুলা সংরক্ষণের প্রস্তাব করেছিল, যা সরকারের আমলাতন্ত্র গ্রহণ করেনি।
বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় তুলা আমদানিকারক দেশ। আমাদের আমদানি পুরোটা সামুদ্রিক বাণিজ্যের উপর শতভাগ নির্ভরশীল। তুলা আমদানিতে স্থানীয়ভাবে কোন সংরক্ষণ সুবিধা দেওয়া হয়নি । কিন্তু বিদেশি রপ্তানিকারকদের অথবা তুলা উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে অনেকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডকে তাদের তুলা সংরক্ষণের কাজে ব্যবহারের প্রস্তাব করেছিল। ব্রাজিল তাদের অন্যতম।
ইতিহাসের দীর্ঘকালের বর্তমান শাসন ব্যবস্থায় গার্মেন্টস শিল্পের সামগ্রিক বিকাশের দিকে যতখানি মনোযোগী হওয়া দরকার ছিল ততখানি হতে পেরেছেন কিনা তাই আজ আরেকটা বড় প্রশ্ন? অনেকে মনে করবে আমরা তা পারিনি । আমরা যদি সেই সাফল্যের জায়গা অর্জন করতে পারতাম তাহলে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি দেখা দিত না।
আমাদের আমদানি ব্যয় দীর্ঘকাল যাবত বেড়ে চলছিল। আমাদের মুদ্রা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা মানুষেরা সেদিকে মনোযোগী ছিল না, আমদানি ব্যায়কে নিয়ন্ত্রণ করার কোন পদক্ষেপ অতীতে গ্রহণ করা হয়নি।
পত্রিকার পৃষ্ঠা খুললে প্রতিদিনই বিভিন্ন অর্থনীতিবিদের নানান মন্তব্য দেখা যাচ্ছে, এরা সব প্রতিষ্ঠিত অর্থনীতিবিদ কিন্তু কখনো আমরা গণমাধ্যমে দেখিনি যে আমাদের আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত এমন কোন সুপারিশ। আমরা দেখিনি কখনো আমদানি নির্ভর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিপক্ষে কোনো মতামত। বরঞ্চ আমরা দেখেছি সেই তেল গ্যাস বন্দর রক্ষা আন্দোলনকারীরাই সমস্বরে তাদের মত প্রকাশ করেছেন, ধারাবাহিকভাবে ।
এখন ঘাটতি পূরণের জন্য এ মুহূর্তে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহের একমাত্র বিকল্পই হচ্ছে, আরো ঋণ গ্রহণ করা যা আগামী দিনে আরো ভয়ংকর পরিস্থিতির শিকার হবে। বিদ্যুৎ খাতের সাথে আমাদের রপ্তানি শিল্পের শতভাগ সম্পর্ক, সেই বিদ্যুৎ ঘাটতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে আমাদের রপ্তানি খাতের সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান এখন দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে লোডশেডিং আর গ্যাস সরবরাহের অপ্রতুলতায়।
পৃথিবীর বহু অর্থনীতিবিদ আগত স্টেগফেলশানের আশঙ্কার কথা বলছেন। ১৯৭০ দশক থেকে শুরু হওয়া স্টেগফেলশনের প্রভাব আশির দশক পর্যন্ত চলছিল। আশঙ্কা করা হচ্ছে আবার বিশ্ব একটি স্টেগফেলেশনের মোকাবেলা করতে যাচ্ছে। ৭০ দশকের সেই স্টেগফেলশনে বিশ্বের জিডিপিতে ধস নেমেছিল, সাথে সাথে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি চলছিল, ফলে পৃথিবীর নানান দেশে খাদ্য সংকটের সৃষ্টি হয়েছিল।
পৃথিবীতে যখন স্টেগফেলশন হয়েছিল তখন আইএমএফ ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের কি প্রেসক্রিপশন ছিল অনুন্নত স্বল্প উন্নত দেশগুলোর জন্য? নাকি বিশ্ব অর্থনৈতিক বাজারে আই এম এফ ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের অতীতের কর্তৃত্ববাদী বিনিয়োগের পরিসমাপ্তি হওয়াতে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে নতুন এই উপদেশ দেওয়া হচ্ছে?
বিশ্ব অর্থনৈতিক বাজারে আইএমএফ ও বিশ্ব ব্যাংক এডিবি, আইডিবি বিভিন্ন সংস্থার বিপরীতে চীনের অর্থায়ন কি এই মতের প্রধান কারণ? যে একচ্ছত্র অধিকার ছিল এই সংস্থানগুলোর বিশ্ব অর্থায়ানের ক্ষেত্রে তার পরিসমাপ্তি ঘটাতেই কি নতুন এই উপদেশ সৃষ্টি হল?
বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ যখন ষড়যন্ত্রের শিকারে পরিণত হয়েছিল, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন প্রত্যাহার হয়েছিল এডিবি, জাইকা সকলেই যখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল তখন চীনের অর্থায়নে আমাদের পদ্মা সেতুর সাফল্য দেখিয়েছে।
পদ্মা সেতুর বিনিয়োগ অর্থনীতিতে কি প্রভাব বিস্তার করবে তা এই মুহূর্তেই সুনির্দিষ্ট ভাবে হিসেব করা যাবে না, তবে নিঃসন্দেহে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি অর্জনের সহায়তা করবে তাতে দেশ-বিদেশের কোন অর্থনীতিবিদের দ্বিমত নাই।
আমাদের মতন ছোট্ট ভূখণ্ড এবং পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ জনবহুল দেশ আমাদের জটিল ভূ কাঠামো যোগাযোগ ব্যবস্থায় এখনো ব্যাপক বিনিয়োগের প্রয়োজন । যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রধান শর্ত। তবে আমাদের আরো মনোযোগী হতে হবে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও নিজস্ব গ্যাসের প্রবাহ বৃদ্ধি করা। যে জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী প্রয়োজন, যারা আমাদের সমুদ্রে নতুন গ্যাসক্ষেত্র অন্বেষণ করবেন।
সমুদ্রে গ্যাস আহরণ বৃদ্ধির প্রচেষ্টার অভাবে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতটি প্রধানত আমদানি নির্ভর হয়ে পড়েছে। যে কারণে আমাদের উৎপাদন সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছি না। এর ফলেই আমাদেরকে আজ অর্থনৈতিক সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে কিনা সেটি প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের পুরো বিদ্যুৎ খাত আমদানি নির্ভর হয়ে পড়েছে। দেশ আবার সেই ২০০৪/২০০৫ সালের দিকে চলে যাচ্ছে কিনা সেটি বড় প্রশ্ন?
গৃহহীনদের গৃহ প্রদান করা যেমন সামাজিক উন্নয়নের কাজ তার থেকে প্রধান দায়িত্ব কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য যা কিছু করা দরকার তার প্রধান উৎসই হচ্ছে জ্বালানি শক্তি অর্থাৎ বিদ্যুৎ। সেই বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে সরকার মনোযোগী ছিল বলেই দেশের মানুষের ধারণা ছিল।
দীর্ঘদিন সরকারের সেই উদ্যোগ আজ নানা প্রান্তরে সমালোচিত হচ্ছে, সেই পুরনো লোডশেডিং ফিরে আশায়। যেখানে উৎপাদন সক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াট বলা হয় যা প্রকৃত ১৭ হাজার মেগাওয়াট। অন্যান্য বহুবিধ কারণেই এটিই আমাদের বাস্তবসম্মত প্রকৃত উৎপাদন সক্ষমতা।
বিদ্যুৎ উৎপাদন করার জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানির সংস্থান আমরা করতে পারিনি, আমাদের এই জ্বালানিই প্রধান সংকট এখন এবং এই জ্বালানি নির্ভরতার সঙ্গে দেশের সেই প্রখ্যাত তেল গ্যাস কয়লা বন্দর রক্ষা আন্দোলনের গভীর সংযোগ আছে। আমাদের সামনের দিনগুলো কতটা সংকটপূর্ণ তা এই মুহূর্তেই বোঝা যাচ্ছে না, কিন্তু সংকট যে আসন্ন তাতে কোন সন্দেহ নেই।
সংকটের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়াতে যাচ্ছে আমাদের আমদানি নির্ভর জ্বালানি খাত আর ত্রুটিপূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা। যেমন বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ বৃদ্ধি করার জন্য যে নগদ অর্থায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে তা আসলে হুন্ডি ব্যবস্থাকে ন্যূনতম নিয়ন্ত্রণে নিতে পারছে না, বরঞ্চ বৈদেশিক মুদ্রায় আরো ইনফ্লেশন যোগ হচ্ছে।
দেশের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহারের আইন-কানুনের দুর্বল দিক আছে যেগুলো এই হুন্ডি ব্যবস্থাকেই আরো ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করে। যেমন বর্তমানে বিদেশে অধ্যয়নের জন্য যে ছাত্র-ছাত্রীরা যান তাদের শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ মেটানোর জন্য টিউশন ফি বৈদেশিক মুদ্রায় প্রেরণ করা যায় কিন্তু তাদের জীবন ধারণের জন্য ন্যূনতম কোনো টাকা বরাদ্দ করা হয়নি। ফলে পুরোটাই হুন্ডি ব্যবস্থার শিকার।
উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদ যারা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে দ্বৈত নাগরিকত্বের আওতায় উন্নত বিশ্বে বসবাস করছেন তাদের সম্পত্তি বিক্রির অর্থ পুরোটাই হুন্ডি ব্যবস্থার শিকার। তাদের পক্ষে এই অর্থ বৈধ পথে নেবার কোন সুযোগ নাই। এমনি আরো অনেকগুলো বিষয় আছে যা হুন্ডি ব্যবস্থাকে বহাল রেখেছে। বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের সামনে ভাবতে হবে গভীরভাবে আমরা যেন হুন্ডি ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারি।