এবার দেশেই তৈরি হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা পোশাক পিপিই
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় দেশের চিকিৎসক-সেবিকা ও অন্য কর্মীদের সুরক্ষা পোশাক তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশেই। মার্কস অ্যান্ড স্পেনসারের (এমঅ্যান্ডএস) কান্ট্রি ডিরেক্টর স্বপ্না ভৌমিক এবং বুয়েটের একদল অ্যালামনাই সদস্যের যৌথ প্রয়াসে তৈরি হচ্ছে এই পারসোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই)। এর সমন্বয়ে থাকছে পে ইট ফরওয়ার্ড আর অনেস্ট টিমের পক্ষে সোনার বাংলা ফাউন্ডেশন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্বপ্না ভৌমিক ও সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর মোহাম্মদ ওয়াহিদ হেসেন পৃথক পোস্টে এসব তথ্য জানান।
শনিবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্টেটাসে স্বপ্না ভৌমিক জানান, বুয়েটের একদল অ্যালামনাই আর আমার দল মিলে তৈরি করছি পিপিই, সহযোগিতা করছে এফসিআই। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে তারা এ পোশাক তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন।
অন্যদিকে, পে ইট ফরওয়ার্ড গ্রুপ ও সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর মোহাম্মদ ওয়াহিদ হেসেন নিজের ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন, আগামীকাল থেকেই আমরা পিপিই প্রোডাকশনে যাচ্ছি। এত্তো সাহস কোথায় পেলাম! বেশকিছু কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান, মাল্টিন্যাশনাল, এনজিও আর দেশ-বিদেশের অনেক ব্যক্তি- প্রতিষ্ঠান আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছেন। আর, চাইবেন নাইবা কেন? এই ডাক্তার, এই নার্স, এই স্বাস্থ্যকর্মীরাতো আমাদেরই সন্তান; আমরা ওদের জন্য করবো নাতো কে করবে?
তিনি আরও লেখেন, আমরা ওদের সুরক্ষার ব্যবস্থা না করলে, ওরা কী করে আমাদের সেবা দেবে?
ফেসবুকে শামস রশীদ জয় নামের একজন বিস্তারিত লিখতে গিয়ে জানিয়েছেন, স্বপ্নার উদ্যোগে করোনা মোকাবিলায় ডাক্তার ও নার্স, রোগী, অন্যান্য জরুরি সেবার সদস্যদের জন্য চার লাখ পিপিই (পারসোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট) তৈরির কাজ শুরু করেছে মার্ক্স অ্যান্ড স্পেন্সার। সারা দিন চলেছে ফ্যাব্রিকের সন্ধান, বুয়েট অ্যালামনাই সদস্যদের সহায়তায় হয়েছে নকশা। সন্ধ্যাতেই পাওয়া গেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন। এগুলো বানানো হচ্ছে মার্ক্স অ্যান্ড স্পেন্সারের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলোতে। ১০-১২ দিনের মধ্যেই চার লাখ তৈরি হয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা মার্ক্স অ্যাণ্ড স্পেন্সারের।