বড়পুকুরিয়ায় পুরোদমে কয়লা উত্তোলন শুরু
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে দিনে তিন শিফটে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে ২ হাজার ৭৩১ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ আশা করছে, ৩ শিফটে প্রতিদিন তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার মেট্রিক টন করে কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হবে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম সরকার রোববার (২১ আগস্ট) দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ৬ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টা থেকে এই খনিতে এক শিফটে উৎপাদন শুরু করা হয়। এরপর রক্ষণাবেক্ষণ কাজ সম্পন্ন করে শনিবার ভোর থেকে খনিতে ৩ শিফটে পুরোদমে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়।
তিন শিফটে স্থানীয় বাংলাদেশি ২৯৩ জন ও ৩০০ জন চীনা শ্রমিক কাজ করছেন বলে জানান সাইফুল ইসলাম। শ্রমিকের আরও সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি। সংখ্যা বাড়লে প্রতিদিন তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার মেট্রিক টন করে কয়লা উত্তোলন করা যাবে।
খনি সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উত্তোলনকৃত ১৩১০ নং ফেইজ থেকে মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় গত ৩০ এপ্রিল থেকে এই খনিতে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। পরে ফেইজটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
এরপর পরিত্যক্ত ফেইজের ব্যবহারযোগ্য যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও নতুন প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বসিয়ে ১৩০৬ নং ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন করার প্রক্রিয়া শুরু করে কর্তৃপক্ষ। ওই সময়ে বলা হয়েছিল নতুন ফেইজ রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন করে কয়লা উত্তোলনে সময় লাগবে প্রায় আড়াই মাস।
পরে আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে কয়লা উত্তোলনের সময়ও নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ। তবে জাতীয় সংকট মোকাবেলা করার জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ও পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় দ্রুত নতুন ফেইজের উন্নয়ন কাজ শেষ করা হয়।
ভূগর্ভের ভেতরে যন্ত্রপাতি বসিয়ে ২৭ জুলাই সকাল থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু করে কর্তৃপক্ষ।
এরই মধ্যে খনিতে কর্মরতদের করোনা উপসর্গ দেখা দিলে পরীক্ষা করা হয় এবং ৫২ জন চীনা ও বাংলাদেশী শ্রমিকের মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। পরে ৩০ জুলাই সকাল থেকে আবারও কয়লা উত্তোলন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।