‘আমরা ফোর-ফাইভের স্টুডেন্ট নই যে শিখিয়ে দিতে হবে’
ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে টি-টোয়েন্টি দল নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনায় বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। নেতৃত্বে পরিবর্তনসহ সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটের জন্য টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট নামের বিশেষ পদে ভারতীয় কোচ শ্রীধরন শ্রীরামকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে নতুন করে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব পাওয়া সাকিব আল হাসান নিজের ভূমিকায় তেমন ভিন্নতা দেখছেন না। তার মতে, দলের সবাই নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত। ক্রিকেটাররা ক্লাস ফোর-ফাইভের ছাত্র নন যে, তাদের সব বুঝিয়ে দিতে হবে।
সোমবার প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ও শ্রীরামের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বৈঠক শেষে তিনি জানান, প্রধান কোচ হলেও আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্বে থাকবেন না ডমিঙ্গো। সব সামলাবেন টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীরামই। এদিন ভারতীয় কোচের সঙ্গে পরিচয় পর্ব সেরে নিয়েছেন সাকিব ও দলের অন্যান্য ক্রিকেটাররা। তবে দলে শ্রীরামের ভূমিকা সম্পর্কে তখনও জানা ছিল না ক্রিকেটারদের।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ভালো করতে না পারার প্রধানতম কারণ ব্যাটিং। পাওয়ার হিটিং করার মতো ব্যাটসম্যান তো নেই-ই, স্বাভাবিক ব্যাটিং করাটাও যেন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। ২০ ওভারের ম্যাচেও উইকেট বাঁচানোর চিন্তা করা হয়। অধিনায়ক হিসেবে এশিয়া কাপে কী পরিকল্পনা সাকিবের? অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার খোলসা করে কিছু বললেন না। অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়া সাকিব বলেন, 'এই পরিকল্পনাগুলো সচরাচর কোচ ও অধিনায়ক মিলে করে থাকে। আমাদের এখানে একজন নতুন দায়িত্বে এসেছেন, তার সঙ্গে বসে এগুলো করা হবে।'
নিজের কাজ সম্পর্কে দলের সবারই পরিষ্কার ধারণা আছে জানিয়ে সাকিব বলেন, 'সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা থাকবে বলে আমার মনে হয় না। সবাই অনেক ক্রিকেট খেলেছে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যারা খেলে, তাদের নিজেদের আইডিয়া থাকে কীভাবে দলকে জেতানো যায়। সবাই যার যার জায়গা থেকে সেভাবেই চেষ্টা করবে বলে মনে করি। এ জন্য আলাদা করে বলে দেওয়ার কিছু নেই। আমরা ফোর-ফাইভের স্টুডেন্ট নই যে, আমাদের শিখিয়ে দিতে হবে। ওই জায়গায় আমরা আসলে নেই।'
জিম্বাবুয়ে সফরে ভরাডুবির পর দল নিয়ে চরম সমালোচনা করেন বিসিবি পরিচালক ও টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। অভিযোগের সুরেই তিনি বলেছিলেন, দলে জায়গা টিকিয়ে রাখার জন্য অনেকেই নিজের জন্য ব্যাটিং করেন। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও পক্ষে-বিপক্ষে কোনো মত দেননি সাকিব। তবে ব্যাটসম্যানরা যেন এমন না করেন, সে জন্য পথ বাতলে দেন তিনি।
টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বলেন, 'জায়গা ধরে রাখার জন্য খেলার সবচেয়ে বড় যে জিনিসটা হচ্ছে, আমরা ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাসটা দিতে পারি যে, ব্যর্থ হওয়ার ভয় না পেয়ে যেন দলকে কীভাবে সাহায্য করতে পারে, সেটা নিয়ে কাজ করতে পারে। আমরা যদি তাদের এই আত্মবিশ্বাসটা দিতে পারি যে, তারা দলের অংশ এবং তারা দলে থাকবে। তাহলে আগে হোক বা পরে হোক, সুফল পাওয়া সম্ভব।'