ছাত্রদের ঋণ মওকুফ: জনপ্রতি ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত ঋণ বাতিলের ঘোষণা বাইডেনের
আমেরিকায় (যুক্তরাষ্ট্রে) শিক্ষা খরচ খুবই উচ্চ। প্রায়শই এ ব্যয় মেটাতে ঋণ করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এপর্যন্ত প্রায় ৪ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন নাগরিকের ওপর রয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি ডলার শিক্ষাঋণের বোঝা।
বুধবার (২৪ আগস্ট) প্রেসিডেন্ট বাইডেন জনপ্রতি সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত- ফেডারেল সরকারের দেওয়া শিক্ষাঋণ মওকুফের ঘোষণা দিয়েছেন।
তবে যেসব আমেরিকান বছরে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলারের কম আয় করেন–তারাই কেবল পাবেন এ সুবিধা।
এছাড়া, যেসব শিক্ষার্থীর আর্থিক সক্ষমতা বেশ দুর্বল তারা 'পেল গ্রান্ট' সুবিধার অধীনেও ঋণ নিতে পারে। এই ঋণের ক্ষেত্রে মাথাপিছু ২০ হাজার ডলার করে মওকুফ করবেন বাইডেন।
অচিরেই এর বিস্তারিত পরিকল্পনাও ঘোষণা দেবেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি।
বাইডেন এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, 'অনেক শ্রমজীবী ও মধ্যবিত্ত পরিবারকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে আবার শিক্ষাঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু করতে হবে। তাদের ওপর থেকে ঋণের চাপ কমিয়ে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যেই আমার প্রশাসন খুব শিগগিরই একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করবে'।
শিক্ষাঋণ নিয়ে একটা কিছু করতে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের মধ্যে এক বছরের বেশি সময় ধরে মতভেদ চলেছে। তবে মওকুফের চাপ তৈরি করেন, সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের নেতা চাক শুমার এবং এলিজাবেথ ওয়ারেনের মতো প্রগতিশীল ডেমোক্রেটরা।
শুমার ও ওয়ারেন চেয়েছিলেন, বাইডেন তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে অন্তত ৫০ হাজার ডলার করে মওকুফ করবেন। তবে বুধবার তার চেয়ে অনেক কম পরিমাণই ঘোষণা দিলেন বাইডেন।
তবে জনপ্রতি ১০ হাজার ডলার মওকুফ করতেই ফেডারেল সরকারের খরচ বাড়বে প্রায় ৩০ হাজার কোটি ডলার। এক প্রক্ষেপণে এ হিসাব দিয়েছে পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করছেন, মধ্যপন্থী কিছু ডেমোক্রেটসহ রিপাবলিকান দলের আইনপ্রণেতারা। তারা বলছেন, ঋণ মওকুফ করায় মার্কিন নাগরিকদের হাতে খরচ করার মতো আরও অর্থ থাকবে, যা মূল্যস্ফীতিকে আরও উস্কে দেবে।
- সূত্র: বিবিসি