ভাইরাস প্রতিরোধে ড্রোন ব্যবহার করছে চেন্নাই পৌরসভা
শহরের যেসব স্থানে গাড়ি পৌঁছাতে পারেনা এমন সংকীর্ণ অংশেও জীবাণুনাশক ছিটাতে ড্রোন ব্যবহার করবে চেন্নাই। ড্রোনগুলোর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতে পরীক্ষা করেছে এর উদ্ভাবক আবুল কালাম আজাদ ইউএভি রিসার্চ সেন্টার।
আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগের গবেষকরা মূলত ফসলের ক্ষেতে কীটনাশক ছিটানোর কাজে ব্যবহৃত ড্রোনকে নগরে জীবাণুনাশক ছিটাতে ব্যবহার করার লক্ষ্যে রূপান্তরিত করেছেন। দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই এসব ড্রোন চেন্নাই নগরের ২ লাখ বর্গমিটার এলাকায় জীবাণুনাশক ছিটাতে পারবে। খবর জি নিউজের।
ইতোমধ্যেই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় ৫০০টি গাড়ি মোতায়েন করেছে চেন্নাই মহানগর কর্তৃপক্ষ। এর সঙ্গে বাড়তি সক্ষমতা যুক্ত করবে নতুন ড্রোন বাহিনী। যেসব স্থানে গাড়ি যেতে পারেনা এমন সরু গলি এবং ভবনের ফাঁকে ফাঁকে কাজ করে যেতে পারবে এগুলো।
আবুল কালাম ইউএভি রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক ডক্টর কে সেন্থিল কুমার বলেন , 'অধিকাংশ ড্রোন বৈদ্যুতিক কোষ (ব্যাটারি) চালিত যা দিয়ে সর্বোচ্চ ১০ লিটার জীবাণুনাশক ছিটানো যায়। কিন্তু আমাদের ড্রোনগুলো একটি পেট্রোলচালিত ইঞ্জিন ব্যবহার করায় এটি ১৬ লিটার জীবাণুনাশক নিউয়ে উড়তে পারে এবং আকাশে আরও বেশি সময় অবস্থান করতে পারে। তিন মিটার থেকে সর্বোচ্চ ২৫ মিটার উচ্চতায় টানা দুই ঘণ্টা উড়তে পারবে ড্রোনটি'।
এটি ব্যবহারের সুবিধা সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতি ফোটা জীবাণুনাশককে হাজারো কণায় বিভক্ত করে ছিটিয়ে দেওয়ার সক্ষমতা থাকায় এ দিয়ে শহরের বড় একটি অংশে জীবাণু সংক্রমণ রোধ করা যাবে।