চা পান না চা-শ্রমিকের রক্তপান
'পেয়ালায় যে উষ্ণ রঙিন তরল দেখতে পাচ্ছেন, তা আসলে চা শ্রমিকের রক্ত।' ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের চৈত্র সংখ্যা তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা থেকে উদ্ধৃত:
'আজকালকার কয়জন জানেন? বোধহয় কেহই জানেন না যে চা বাগানের কুলীদের প্রতি চা বাবুরা কি ভীষণ অত্যাচার করি। আজকাল যেমন নারী ধর্ষণের ব্যাপার সংবাদপত্র খুলিলেই দেখা যায় সে কালেও চা করদের পদাঘাতে কুলীদের প্লীহাফাটা, বিচারে আসামীর বেকসুর খালাস পাওয়া, চা বাগানের কুলীরমনীর উপর পাশবিক অত্যাচারের কাহিনী সংবাদপত্র খুলিলেই দেখা যাইত।'
চা বাণিজ্য নিয়ে ১৯২৯ সালের ভারত সরকারের রিপোর্টে বলা হয় চায়ের ব্যবসায়ে ৪৮ কোটি টাকার মূলধন খাটছে এবং ৩৭ কোটিই বিলেতি মূলধন। এ দেশীয় মালিক অতি অল্প, ব্যবসায়ে লাভের শতকরা হার একশথেকে দুই শ। ৩৪০টি চা-বাগানে ৩১৫ জন বিদেশি ম্যানেজার, তাদের পেছনে খরচ হয় পাঁচ কোটি টাকা।
তত্ত্ববোধিনী লিখছে:
প্রায় সাড়ে আট লক্ষ শ্রমজীবী মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বিদেশী বণিকদের অর্থকোষ পূর্ণ করছে। তার প্রতিজনে মাসে মাথাপিছু সাড়ে সাত টাকা অর্থাৎ দৈনিক এক সিঁকি। দৈনিক চারি আনাতে কি একটা মানুষের জীবন ধারণ চলে। অত্যাচার-অনাচারের কথা ছেড়ে দাও ইতিহাস তার সাক্ষী। স্থানে স্থানে সরকারী বেসরকারী রেলওয়ে স্টেশনে 'টি-মেস এসোসিয়েশনের অনুরোধপত্র ঝুলছে। এক পেয়ালা চা খাও, কোন কষ্ট থাকবে না। মাতাল হবে না অথচ মদ্যানন্দ পাবে, শরীর মুজবুত, সবল ও কার্যক্ষম হবে ইত্যাদি। সহসা আমাদের স্বাস্থ্যোন্নতির জন্য বিদেশী বণিকদের এত উদ্বেগ কেন?'
চা কি শুধুই চা? ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, তিনি জানতেন চায়ের বড় কোম্পানী চায়ের সাথে আফিম জল মিশিয়ে দিতেন, ফলে যে একবার সেই চা খেয়েছে, তার পক্ষে এ কোম্পানির চা ছেড়ে দেওয়া সম্ভব ছিল না, অন্য কোম্পানির চায়ে তার মনও ভরত না। ক্ষিতীন্দ্রনাথের বন্ধু বলেছেন চায়ের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়া লোকে লোকারণ্য এক চায়ের দোকানের রান্নাঘরে গিয়ে দেখেন চায়ের পানি ফোটাবার সময় 'পোস্তর ঢেঁড়ি' (আফিম ফলের বিচি) তাতে ঢেলে দেওয়া হয় আর তাতেই চায়ে মাদকতা আসে। তিনি নিজে হিন্দু চা, মুসলমান চা ইত্যাদি বানাতে দেখেছেন, যার সবটাই বাণিজ্যিক ধাপ্পাবাজি।
চা বাণিজ্যে শ্রমিকের নাম নেই
১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তির বছর কলিকাতার ১৪ নং হেয়ার স্ট্রিটের রেজিস্টার্ড অফিসে বাংলার টি ট্রেডিং সোসাইটি লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করা হলো। কোম্পানির পরিচালকগণ হচ্ছেন নদীয়ার জমিদার নষ্ণরচন্দ্র পাল চৌধুরী, সিলেটের জমিদার ও মহাজন রমনীমোহন দাস, চা দালাল যোগেন্দ্রনাথ মল্লিক, আড়তদার কালীচরণ দত্ত, কোম্পানির সচি মহাজন এম এম দে।
কোম্পানির উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে আসাম, জলপাইগুড়ি ও শ্রীহট্ট চা-বাগান সম্প্রসারণ এবং চা বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ; শ্রীহট্ট শনাক্তকৃত ৮০০ একর জমিতে চা-বাগান প্রতিষ্ঠা।চায়ের উপযুক্ত জমি বলে জায়গাটি চিহ্নিত হয়েছে, এখানে সুলভে হিন্দু ও মুসলমান কুলি পাওয়া যাবে। যুক্তরাষ্ট্র কানাডা, বেলজিয়াম, সুইডেন, রাশিয়া, হল্যান্ড তুরস্ক ও ফ্রান্সে রুচির পরিবর্তন ঘটেছে, চীনের চা আমদানি কমিয়ে তারা ভারতের চায়ের দিকে মনোযোগী হয়েছে। আর ব্রিটেনের চায়ের ৮০ শতাংশই ভারতবর্ষের চা। ভারত থেকে রপ্তানি করা চায়ের ৫ বছরের একটি হিসাব:
১৯০৭-০৮ ২২.৭ কোটি পাউন্ড
১৯০৮-০৯ ২৪.০ কোটি পাউন্ড
১৯০৯-১০ ২৪.৯ কোটি পাউন্ড
১৯১০-১১ ২৫.৩ কোটি পাউন্ড
১৯১১-১২ ২৬.১ কোটি পাউন্ড
এই হিসাবটি বিদেশে ভারতীয় চায়ের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রমাণ দেয়। এর মধ্যেই চা অতি লাভজনক একটি ব্যবসা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কোম্পানি আশাবাদী আগামীতে চা আরও বেশি লাভজনক ব্যবসায়ে পরিণত হবে।
কোম্পানির স্মারকপত্র থেকে দুটি অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত হচ্ছে:
১. প্রথমত: চার আবাদ একমাত্র সাহেবদিগের হাতেই ছিল। ভারতবাসীরা ক্রমশ উহার মধ্যে প্রবেশ লাভ করিয়া যখন চা আবাদের অবশ্যকতা বুঝিতে পারিল, সেই সময় হইতে অনেক ভারতবাসী চা আবাদ আরম্ভ করিয়াছেন এবং করিতেছেন এবং বর্তমান সময় পর্যন্ত শে^তাঙ্গদিগের অপেক্ষা অধিকতর লাভজনক পন্থায় চার আবাদ চালাইতেছেন। অন্যান্য ব্যবসায়ে ভারতবাসীর চেষ্টা ততদূর ফলবতী না হইলেও চার ব্যবসায়ে সিদ্ধিলাভ করিয়াছেন। জলপাইগুড়ী আসাম ও শ্রীহট্ট জেলায় অনেক বাঙ্গালী চা কোম্পানী স্বদেশীয় মূলধনে প্রতিষ্ঠিত দেশীয় লোকের দ্বারা পরিচালিত চার আবাদ করিয়া প্রচুর লাভ করিতেছেন এবং বাৎসরিক শতকরা ৫০, ৬০, ১০০ এর ১৫০ টাকা অবধি ভিজিড (লাভ) দিতেছেন।
২. ভারতজাত চার ক্রয়বিক্রয় প্রধানত: এখনও শেতাঙ্গ বণিকদিগের হস্তে রহিয়াছে এবং উহারাই প্রায় পৃথিবীর সর্বত্র চা রপ্তানি করিতেছেন। কয়েক বৎসর হইতে ভারতবাসী বণিকগণ উহার মধ্যে অল্পে অল্পে প্রবেশলাভ করিয়া চার ব্যবসায়ে লাভ বুঝিতে পারিয়া চা ক্রয়-বিক্রয় এবং বিদেশে চা রপ্তানি করিতেছেন।
বলা বাহুল্য, এই স্মারকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কেবল লাভ আর লাভ, টাকা আর টাকার কথা বলা হয়েছে। ভারতীয় জমিদার মহাজনদের যে চোখ খুলছে সে কথা বলা হয়েছে। চা শ্রমিক, চা বাগানের কুলি তাদের মনুষ্য জীবনের উন্নতি বিধানের কোনো কথা বলা হয়নি। কেবল সুলভে বিপুল সংখ্যায় শ্রমিক যে পাওয়া যায়, যাবে তাতেই সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।
কুলির পিঠে রক্তধারা
কলকাতায় চা-মালিকদের এই সোসাইটি গঠিত হবার ৪০ বছর আগে ৪ জুন ১৮৬৩ ঢাকা প্রকাশ পত্রিকা চা-বাগানের কুলি নিপীড়ন নিয়ে যে মন্তব্য করেছে, তা তুলে ধরছি:
'চা-করেরা কুলিদিগের প্রতি যে সকল ভয়ানক অত্যাচার করেন তাহা শুনিয়া পাষাণও দ্রব হইয়া যায়... আর কতকাল কুলিদিগের পৃষ্ঠদেশ হইতে শোণিত প্রবাহিত হইবে? আর কতকাল তাহারা আহার ও বাসস্থানের অপকৃষ্টতা নিবন্ধন উৎকট রোগাক্রান্ত হইয়া অকালে লোকান্তরে গমন করিবে? ঐ সভ্যতম বৃটিশ অধিকারে আমাদিগকে এই সকল অত্যাচার দেখিতে হইল তাহা হইলে আর মুসলমানদিগের অধিকার নিন্দনীয় কিসে? মুসলমান অধিকার সময়ে প্রজাগণ কি উহা অপেক্ষা অধিক অত্যাচারিতও হইত?'
অবশ্য মানতেই হবে মুসলমান অধিকারের সময় বাংলায় চায়ের চাষাবাদ শুরু হয়নি।
হৃদয়হীন বদমাশ ও মানুষখেকো ব্যাঘ্র
চা-চাষি হোক কি ইক্ষু-চাষি হোক ব্রিটিশ প্লান্টাররা আফ্রিকায় ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে পরিচিত ছিলেন হার্টলেস স্কাউন্ড্রেলস এবং ম্যান ইটিং টাইগার হিসেবে। রেভারেন্ড হফম্যান লিখেছেন, আসামে চা-শ্রমিকেরা চা-বাগানমালিক ব্যবস্থাপক ও দালালদের হাতে শোষিত ও প্রতারিত হয়েছে। বহু কুলির তরুণী স্ত্রী এবং নারী কুলি নিয়মিত ধর্ষণের শিকার হয়েছে, প্রতিবাদী পুরুষ তাদের গুলিতে নিহত হয়েছে।
চায়ের শ্রীহট্ট ও দার্জিলিং
চা উৎপাদনের উত্তম স্থান হিসেবে বিবেচিত শ্রীহট্ট করিমগঞ্জসহ বর্তমান সিলেট, সম্পর্কে মহাজন বন্ধু মাসিক পত্রিকা ১৩২০ বঙ্গাব্দে জ্যৈষ্ঠ সংখ্যায় লিখেছে : এই জেলাতে ৮০০০০ একর জমিতে চায়ের চাষ হচ্ছে তাতে প্রচলিত বাজার মূল্যে দেড় কোটি টাকার চা উৎপন্ন হচ্ছে। এই জেলার বিশেষ করে করিমগঞ্জ মহাকুমার চায়ের জমির উৎপাদন শক্তি সর্বাধিক। ১৮৭৪-৭৫ সালে এখানে প্রথম চায়ের চাষ হয়; ১৮৭৬-৭৭ সালে দার্জিলিং চা চাষের জমির পরিমাণ ছিল মাত্র ৮১৪ একর। পরবর্তী সময়ে চায়ের চাষ এতোটাই বেড়ে যায় যে ১৯০১ সালে একমাত্র রাচি জেলা থেকেই ৮০০০০ কুলি বাগানে কাজ করার জন্য আনা হয়েছিল। আদমশুমারিতে দেখা যায় দার্জিলিং-এর জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে প্রকৃতপক্ষে তাদের অর্ধেকই চা বাগানের শ্রমিক।
চায়ের বিজ্ঞাপনে পৌনে ৮ লক্ষ টাকা
শ্রমিকের কল্যাণ উপেক্ষিত। কিন্ত চা-খোর বাড়াতে দেশীয় ও বিলেতি চা বণিকেরা উঠেপড়ে লেগেছেন। চায়ের কাটতি বাড়াতে টি সেল কমিটি বছওে ৫ লক্ষ টাকা খরচ করত কিন্তু তা যথেষ্ট না হওয়ায় প্রতিবছর ২৫ হাজার করে বাড়াতে বাড়াতে ১৯২৯ সালে পৌনে ৮ লক্ষ টাকায় পৌঁছে খরচ। যেমন করেই হোক চা-খোর বাড়াতে হবে এবং তাদের নেশা ধরাতে হবে। দিন আনা দিন খাওয়া গরিব মানুষও যাতে চায়ে আসক্ত হয়, সে জন্য ছোট প্যাকেটে সস্তায় চা বিক্রি করা হয়েছে। ভারতবর্ষে চায়ের নেশা লাগাতে পারলে বাংলার চায়ের পাতা সুদূর আমেরিকায় পাঠাবার ঝক্কি পোহাতে হবে না। অবশ্য ১৯২৯-এ আমেরিকায় চা-খোর সৃষ্টির জন্য টি সেল অ্যাসোসিয়েশন ৫০ হাজার পাউন্ড বরাদ্দ করেছে।
কুলি নিয়োগ একটি ব্যতিক্রমধর্মী বর্ণনা
ঢাকা প্রকাশ থেকে উদ্ধৃত:
হয়ত কোন অসতী স্ত্রীলোক স্বামীর সঙ্গে ঝসড়া করিয়া ঘরের বাহির হইল। কুলী চালকের নিকট গিয়া বলিল, তাহার কেহ নাই, সে খাইতে পায় না, একটা কাজের যোগাড় করিয়া দেওয়া হউক। তাহাকে তখন কুলী চালক চুক্তিপত্র লিখাইয়া রেজিস্টারের নিকট নিল; সেখানেও সেইরূপ কথা বলিয়া কুলীর চুক্তিতে আবদ্ধ হইল ও আসামে চলিয়া গেল। কিন্তু পরে সে স্বামী, পুত্রাদি ও দেশের মমতায় অস্থির হইয়া কুলী চালকের ভুলানীর উপর সকল দোষ চাপাইল।
এই কাহিনিটি স্পষ্টত এ কথাই বলে সেই কুলির দালালের উত্তরসূরিরাই মানবপাচারের বড় ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছে।
কুলি লেঙটি ছেড়ে ধুতি ধরেছে
১৮১৮ সালের কুলি কংগ্রেস কনফারেন্সে ইংরেজ সরকারের সহায়তার প্রশংসা করা হয়েছে: 'যে সকল কুলী স্বদেশে ২/১ দিন উপবাস করিয়া এক মুষ্টি বুটের ছাতু একটু লবনসহ আহার করত: জল দ্বারা পেট ভরিত, তাহারা এখন ২/৩ বেলা ডাইল তরকারি ভাত প্রভৃতি পেট ভরিয়া খাইতেছে: যাহারা ছিন্ন বস্ত্রের একটু লেঙটি পরিয়া কোনরূপে লজ্জা নিবারণ করিত তাহার ধূতি, চাদর, পিরণ ও শীতবস্ত্র ব্যবহার করিতেছে। যাহারা অর্থাভাবে কস্মিনকালেও চিকিৎসকের মুখ দেখে নাই, তাহারা পাশ করা ডাক্তার কর্তৃক প্রত্যহ পরিদর্শিত হইতেছে; যাহারা মাসে ১ টাকা দেড় টাকার বেশি উপার্জন করিতে পারে না তাহারা ৬/৭ টাকা উপার্জন করিতেছে; এই অসামান্য সুখ বৃদ্ধির জন্য অনেক কুলী চুক্তির ম্যাদ অল্প হইলেও স্বদেশর বিষম আকর্ষন পরিত্যাগ করিয়া পুনরায় চা বাগানের কাজ করিতেছে।'
ঢাকা প্রকাশ অবশ্য প্রশ্ন রেখেছে যেখানে আমেরিকার চা-বাগানের কুলি মাসে ৫০-৬০ টাকা উপার্জন করছে, সেখানে ৬-৭ টাকায় তুষ্ট থাকার কোনো কারণ নেই।
চা-বাগানের প্রভুরা খেলাচ্ছলে দু-একজন কুলিকে আহত ও নিহত করতে না পারলে তারা যে ভাগ্যবিধাতা, তাদের সে কথাই তো জানান দেওয়া হয় না।
এবার মালিকের রক্ত-মাংস ভক্ষণ
চা-শ্রমিকদের একটি সাম্প্রতিক আন্দোলন কিছুটা বেতন বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে স্তিমিত হলো, শ্রমিকেরা কাজে ফিরে গেলেন।
খুব বেশি দিন আগের কথা নয়—আসামের তিনসুকিয়া জেলার এমকেবি টি স্টেটের মালিক মৃদুল কুমার ভট্টাচার্য এবং তার স্ত্রী ঋতা ভট্টাচার্যের বাংলো ঘিরে ফেলল, চা-বাগানের ক্ষিপ্ত শ্রমিক। সাত থেকে আটশজন। তারপর বাংলোতে চারদিক থেকে আগুন ধরিয়ে দিল। নিহত হলো চা-বাগানের দুই মালিক। অবশ্য পুলিশের বর্ণনা আরও ভয়াবহ—ক্ষিপ্ত শ্রমিকেরা নিহত মালিকের মাংস কামড়ে খেয়েছে। আক্রমণকারী এক নারী সরাসরি টেলিভিশন ক্যামেরায় বলেছে আমরা তাদের প্রাপ্য শাস্তি দিয়েছি। আক্রমণের সময় প্রতিবেশী চা-বাগানের শ্রমিকেরাও যোগ দিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। অবশ্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলেছেন মাওবাদী চরমপন্থীদের উসকানিতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি সোনালি চা-বাগানের মালিক রাজেশ কুনকুনওয়ালাকে শ্রমিকেরা শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছে।
এর কোনোটাই বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শ্রমিককে ন্যায্য পাওনা দিলেই সহিংসতা এড়ানো যায়। চায়ে চুমুক দেবার সময় কখনো যদি চা-শ্রমিকের কথা মনে হয়, তাহলে মঙ্গল সবারই।
[ঢাকা প্রকাশের উদ্ধৃতি মুনতাসীর মামুনের গ্রন্থ থেকে; তত্ত্ববোধিনীর উদ্ধৃতি আমার নিজস্ব সংগ্রহ থেকে]