বাদির জিম্মায় মুক্তি পেলেন রহিমা বেগম
প্রায় ১ মাসের মতো নিখোঁজ থাকা খুলনা মহেশ্বরপাশার রহিমা বেগমকে উদ্ধারের পর আজ আদালতে হাজির করেছিল আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, পরে মামলার বাদির (রহিমার মেয়ে আদুরী আক্তার) আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার সন্ধ্যায় খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এর বিচারক সারওয়ার আহমেদ তাকে বাদির জিম্মায় মুক্তির আদেশ দেন।
এর আগে রহিমা বেগম খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২ এর বিচারক মো: আলামিনের কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. আফরুজ্জামান টুটুল।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ফরিদপুরে বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের একটি ঘর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে পৌনে ১১টায় খুলনার উদ্দেশ্য রওনা হয় পুলিশ। রাত ২টা ১০ মিনিটে তাকে দৌলতপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে রাখা হয় সোনাডাঙায় ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে।
প্রথমে মরিয়ম বা পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে না চাইলেও পরবর্তীতে মরিয়ম তাকে জড়িয়ে ধরলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। পরে পুলিশের কাছে অপহরণের অভিযোগ করেন রহিমা বেগম। খুলনা পিবিআই পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান রহিমা বেগমের করা অভিযোগের কথা নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশার বণিকপাড়া থেকে রহিমা নিখোঁজ হন বলে অভিযোগ করে তার পরিবার। রাত সোয়া ২টার দৌলতপুর থানায় অপহরণের অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রহিমার ছেলে মিরাজ আল সাদী।
সে জিডি থেকে জানা যায়, নিখোঁজের সময় রহিমার দ্বিতীয় স্বামী বেল্লাল হাওলাদার বাড়িতে ছিলেন। পানি আনতে বাসা থেকে নিচে নেমেছিলেন রহিমা। দীর্ঘ সময় পরও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
মাকে পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে ২৮ আগস্টে দৌলতপুর থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন রহিমার মেয়ে আদুরী।
রহিমা নিখোঁজ হয়েছেন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সোচ্চার হন মরিয়ম মান্নানসহ তার অন্য মেয়েরা।
গত ১ সেপ্টেম্বর খুলনায় সংবাদ সম্মেলন করেন রহিমার পরিবার। সে সময় জানানো হয়, রহিমার সঙ্গে জমি নিয়ে স্থানীয়দের মামলা চলছে। রহিমার করা সেই মামলায় আসামিরা হলেন প্রতিবেশী মঈন উদ্দিন, গোলাম কিবরিয়া, রফিকুল ইসলাম পলাশ, মোহাম্মাদ জুয়েল ও হেলাল শরীফ।
আদালত ১৪ সেপ্টেম্বর মামলাটি পিবিআইতে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর নথিপত্র বুঝে নেয় পিবিআই।