অ্যালঝেইমার রোগের বিরুদ্ধে জয় পেল জাপানি একটি ওষুধ কোম্পানি
ডিমেনশিয়া বা ভুলে যাওয়া রোগের কয়েকটি ধরনের একটি হলো অ্যালঝেইমার। প্রায় তিন দশক আগে স্নায়বিক এ রোগের সম্ভাব্য কারণ চিহ্নিত করা হয়। সুদীর্ঘ এই সময় পর– জাপানের একটি ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানি প্রমাণ করেছে রোগটির লক্ষণগুলিকে বাগে আনা সম্ভব।
অর্জনটি চিকিৎসা খাতের জন্য বৈপ্লবিক হলেও– জাপানি ওই কোম্পানিটির সম্পর্কে ওষুধ শিল্পের বাইরের খুব কম মানুষই জানে।
কোম্পানিটি হলো– টোকিওভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুতকারক ইসাই কোং। তাদের বাজার মূল্যায়ন প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার।
অ্যালঝেইমার রোগের ওষুধ প্রস্তুতে নেতৃত্ব দেয়– রোচে হোল্ডিং এজি এবং এলি লিলি অ্যান্ড কোং– এর মতো সুবৃহৎ কোম্পানি, যাদের বাজার মূল্যায়ন ইসাই এর চেয়ে প্রায় ২০ গুণ বেশি। তারপরও– উদ্ভাবনের এই দৌড়ে জয় জাপানি সংস্থাটিই পেয়েছে।
ইসাই অ্যান্ড কোং যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক বহুজাতিক ফার্মা বায়োজেন ইনকর্পোরেশনের সাথে লেকানিম্যাব ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল (মানবদেহে প্রয়োগ) পরিচালনা করে। চলতি সপ্তাহে ক্লারিটি-এডি শীর্ষক ওই ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে দেখা গেছে, তাদের ওষুধটি রোগীরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন– এমন একটি ডিমেনশিয়া হ্রাস করেছে।
প্রায় ১০০ বছর আগে রোগটি আবিষ্কারের পর– চিকিৎসা বিজ্ঞান এই অর্জনের মুখ দেখলো।
বুধবার টোকিওতে ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশের সময় ইসাই এর প্রধান নির্বাহী হারুও নাইতো বলেন, 'এমিলয়েড বেটা দূর করার মাধ্যমে লেকানিম্যাব রোগীর অবস্তার উন্নতি করতে পারে বলে প্রমাণিত হয়েছে'।
দীর্ঘকাল গবেষণা ও তাতে বার বার ব্যর্থতার হাতে ধরে এসেছে এই সফলতা। এর আগে চলতি বছরের শুরুতে ইসাই ও বায়োজেন যৌথভাবে আরেকটি ওষুধের পরীক্ষা চালিয়ে ব্যর্থতার মুখ দেখে।
তবে ইসাই এর হাইপোথিসিস ছিল যে, অ্যালঝেইমার রোগীর মস্তিস্কের এমিলয়েড প্লাক বা স্তর দূর করা গেলে রোগটির তীব্রতা কমে আসে। তাদের এই হাইপোথিসিস পূর্বের ব্যর্থতার কারণে ব্যাপক প্রশ্নের মুখেও পড়েছিল।
- সূত্র: ব্লুমবার্গ