পাইপলাইন সমৃদ্ধ করে আসা কোচদের বিসিবির পুরস্কার
পাড়া-মহল্লার ক্রিকেটারদের নিয়ে তাদের কাজ। ক্ষুদে ক্রিকেটারদের পেশাদার ক্রিকেটে হাতেখরি হয় তাদের মাধ্যমেই। বিনিময়ে সামান্য সুযোগ-সুবিধাই পেয়ে থাকেন তৃণমূল পর্যায়ের ক্রিকেট কোচরা। সুযোগ-সুবিধার কথা না ভেবেই নিবেদনের জায়গা থেকে ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করে যান কোচরা। তাদের হাত ধরেই দেশের ক্রিকেটের পাইপলাইন সমৃদ্ধ হয়। কাজের স্বীকৃতি ও নিবেদন বাড়াতে তৃণমূল পর্যায়ের কোচদের পুরস্কৃত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
তৃণমূল পর্যায় থেকে ক্রিকেটার তুলে আনার পেছনে অক্লান্ত পরিশ্রম করা বিভাগীয় পর্যায়ের ছয় কোচকে বৃহস্পতিবার পুরস্কৃত করেছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। দেশের ৭৭ জন কোচের মধ্য থেকে এই ছয়জনকে বেছে নিয়েছে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগ। ক্রেস্ট, সনদের পাশাপাশি সবাইকে ১ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
কোচদের পুরস্কৃত করার বিষয়ে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ম্যানেজার আবু ইনাম মোহাম্মদ কাওসার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'তৃণমূল পর্যায়ে যে কোচরা কাজ করেন, তাদের কাজের স্বীকৃতিতে এই আয়োজন। অনেকেই ভালো কাজ করছেন। আমরা প্রতি বছর এ রকম একটি পুরস্কার দেব। তারা যদি কাজের স্বীকৃতি পান, তাহলে দেখা যাবে আমাদের পাইপলাইনে বেশি ক্রিকেটার আসবে। তাদেরকে অনুপ্রাণিত করতেই এই আয়োজন।'
বিসিবির অধীনে সারা দেশে ৭৭ জন কোচ আছেন। বিভাগীয় পর্যায়ে আছেন ৬৬ জন, স্পেশাল কোচ ১১ জন। তাদের মধ্য থেকে ছয়জনকে 'ডেভেলপমেন্ট কোচ অব দ্য ইয়ার' হিসেবে পুরস্কৃত করা হলো। পুরস্কারপ্রাপ্ত কোচরা হলেন চাঁদপুরের সৈয়দ শামীম আক্তার ফারুকী, সাতক্ষীরার মোফাসিন্নুল ইসলাম টিপু, টাঙ্গাইলের আরাফাত রহমান, ঠাকুরগাঁওয়ের রকোনুজ্জামান রাহাত, খুলনার কাজী ইমদাদুল বাশার রিপন ও চট্টগ্রামের মুমিনুল হক।
নির্দিষ্ট কিছু বিষয় বিবেচনায় এই ছয় কোচকে পুরস্কৃত করার জন্য বেছে নেয় বিসিবি। বিসিবির ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রক্রিয়ায় তাদের অবদান, নিজ এলাকা থেকে জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেটার তুলে আনা, ক্রিকেটারদের সামর্থ্য, কোচিংয়ের প্রক্রিয়া; এসব বিষয় বিবেচনায় সেরার পুরস্কার দেয়া হয়েছে।