রাজধানীর কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ফিরেছে
জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের ফলে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎহীনতা দেখা দেওয়ার পর- রাজধানীর রামপুরা, ওয়াপদা রোড, উত্তরা, টঙ্গী, বিমানবন্দর, মিরপুর ডিওএইচএস, জিগাতলা, ধানমণ্ডি, মহানগর প্রকল্প এলাকা, আফতাবনগর-সহ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ফিরেছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো)'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কাউসার আমির আলী। এছাড়া, বসুন্ধরা, আগারগাঁও, তেজগাঁও, বনানী ও গুলশানে বিদ্যুৎ সরবরাহ ফেরানোর চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
'এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ফেরাতে আরও দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা লাগতে পারে' বলে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান তিনি।
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির পরিচালক বিকাশ দেওয়ান জানান, নারায়ণগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ ও মানিকগঞ্জে বিদ্যুৎ সংযোগ সচল করা গেছে।
পিডিবির চার নং ডিভিশনের বিক্রয় ও বিতরণ বিষয়ক ফেসবুক পেইজে বলা হয়েছে, বেলা দুইটার পর থেকে জাতীয় গ্রিডে নিম্ন প্রবাহের কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়।
ফেসবুক পোস্টটি জানায়, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে যথেষ্ট সময় লাগবে। সরবরাহ ফেরাতে নিরলস কাজ করছেন জাতীয় গ্রিড ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মীরা।
যোগাযোগ করা হলে, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)'র দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, জাতীয় গ্রিডের পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলে বিভ্রাটের কারণে ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও কুমিল্লায় সম্পূর্ণ ব্লাকআউটের মতো পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।
এর পিছনের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি। তবে রেজাউল করিম বলেছেন, সংযোগ ফেরাতে পিডিবির দক্ষিণাঞ্চলের সকল ইউনিট কাজ করছে।
বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে জানানো হয়, বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা- ডেসকোর আওতাধীন এলাকাসমূহে পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ সরবরাহ ফেরানো হচ্ছে। মিরপুর, এয়ারপোর্ট, গুলশান, বারিধারা কূটনৈতিক এলাকা এবং টঙ্গীতে আংশিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হয়েছে। ইতোমধ্যে ২০৮ মেগাওয়াট লোড পাওয়া গেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে হাসপাতাল এবং জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানসমূহকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।