ব্যাট হাতে সেই হতাশার গল্পই লিখলো বাংলাদেশ
ব্যাট হাতে নামলে যেন হতাশায় হাবুডুবু খাওয়াই একমাত্র নিয়তি হয়ে ওঠে বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টিতে দেখা যায় অন্য ফরম্যাটের ব্যাটিং, যা প্রায় নিয়মিত দৃশ্য। ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো শুরু না পাওয়ার পরও গুছিয়ে নেওয়া বাংলাদেশ পরে পথ হারিয়ে দিগ্বিদিক ছুটলো। প্রতিপক্ষের বোলিং, মাঠের আয়তন, কৌশল; এসব নিয়ে না ভেবে দৃষ্টিকটু সব শট খেলে সাজঘরে ফিরলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তাতে সংগ্রহ সামান্যই থেকে গেল।
রোববার ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলে ওভালে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৩৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। অথচ ৭.৫৭ রান রেটে ৭.৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫৩/১। এরপর যে ভাঙনের সুর বেজে উঠলো, তা আর থামানোই গেল না। নাজমুল হোসেন শান্ত খেললেন ওয়ানডে স্টাইলে। এরপর নুরুল হাসান সোহান ছাড়া কেউই পারলেন না টি-টোয়েন্টির মেজাজে দলকে পথ দেখাতে।
তিনটি পরিবর্তন নিয়ে এদিন মাঠে নামে বাংলাদেশ। বাদ পড়েছেন সাব্বির রহমান, মুস্তাফিজুর রহমান ও নাসুম আহমেদ। দলে ফিরেছেন নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সুযোগ পেয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও শরিফুল ইসলাম। ব্যাটিংয়ে ছন্দ পেতে এদিন সাব্বিরকে খেলানো হয়নি। ইনিংস উদ্বোধন করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাটিং অর্ডারেও আনা হয় বড় পরিবর্তন, সাকিব নামেন সাত নম্বরে। কিন্তু কোনো কিছুতেই ভাগ্য বদলানো গেলো না।
শুরুটা ভালো হয়নি, দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে বাজেভাবে ক্যাচ তুলে আউট হন ৫ বলে ৫ রান করা মিরাজ। শুরুতেই উইকেট হারানোর চাপ অবশ্য সহজেই কাটিয়ে তোলেন শান্ত ও লিটন কুমার দাস। দ্বিতীয় উইকেটে ৪১ রানের জুটি গড়েন দুজন। এ সময় লিটন আস্তে ধীরে খেললেও মারকুটে মেজাজে ব্যাট চালান শান্ত, যদিও তা কিছু সময়ের জন্য। ১৬ বলে ১৫ রান করা লিটন দৃষ্টিকটুভাবে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন।
কিছুক্ষণ পর ছক্কা মারতে গিয়ে সীমানার কাছে ধরা পড়েন ২৯ বলে ৪টি চারে ইনিংস সেরা ৩৩ রান করা শান্ত। আগের ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও ব্যর্থ মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। অপরিকল্পিত শটে ক্যাচ তুলে থামেন ৪ বলে ২ রান করা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। পাকিস্তানের বিপক্ষে ঝড়ো ইনিংস খেলা ইয়াসির আলী রাব্বিও হতাশ করেন। ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ধরা পড়েন ৭ রান করা এই ব্যাটসম্যান।
আফিফ হোসেন ধ্রুব এক পাশ আগলে খেলতে থাকলেও রান তুলতে সংগ্রাম করতে হয় তাকে। ২৬ বলে কোনো বাউন্ডারি ছাড়া ২৪ রান করেন তিনি। সাত নম্বরে নামা সাকিব ১৬ বলে ১৬ রান করে আউট হন। বাংলাদেশ ১৩৭ রানে পৌঁছায় মূলত সোহানের ব্যাটে। যে উইকেটে রান তুলতে প্রায় সবাই ধুঁকেছে, সেই উইকেটে খুনে ব্যাটিং করেন তিনি। ডানহাতি উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান ১২ বলে একটি চার ও ২টি ছক্কায় ২৫ রানের না মানা ইনিংস খেলেন। নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, মাইকেল ব্রেসওয়েল ও ইশ সোধি ২টি করে উইকেট নেন।