জ্বর, সর্দি নিয়ে ময়মনসিংহ-লক্ষ্মীপুরে ২ জনের মৃত্যু
জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে ময়মনসিংহ ও লক্ষ্মীপুরে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। উভয় জেলার প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে তাদের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে রাজধানীর আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের পাঠানো হয়েছে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে।
জ্বর-সর্দি নিয়ে লক্ষ্মীপুরে বৃদ্ধের মৃত্যু
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় জ্বর, সর্দিতে আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। এ ঘটনায় ওই বাড়ির ৯ পরিবারকে লকডাউন করেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকালে সদর থানার ওসি এ কে এম আজিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নে ওই বৃদ্ধ মারা যান। বৃহস্পতিবার সকালে লাশ দাফন করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, মারা যাওয়ার আগে তিনদিন ধরে তিনি জ্বর, সর্দিতে আক্রান্ত ছিলেন। এছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন।
ওসি আজিজুর রহমান বলেন, ওই বৃদ্ধ মারা যাওয়ার পর স্বাস্থ্য বিভাগরে সমন্বয়ে তাদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া যারা দাফন কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন তাদেরকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় জানান, ওই বাড়ির কয়েকজন সদস্য প্রবাসী হলেও গত দুই মাসের মধ্যে কেউ বাড়িতে আসেনি।
লক্ষ্মীপুর সিভিল সার্জন আবদুল গোফরান জানান, বৃদ্ধ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল কি-না তা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর পাঠানো হয়েছে।
বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে জ্বর, সর্দি নিয়ে মৃত্যু
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
তিনি উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের গোল্লা জয়পুর গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। সেখানে তিনি মারা যান। মৃত্যুর পর তাকে তার নিজ বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার জল্লি গ্রামে দাফন করা হয়।
পরে ঘটনা জানাজানি হলে তার বোনের বাড়ির সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। ঘটনার পর বুধবার তার ভাগনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেলে আনা হয়। সেখানে তার শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে রাজধানীর আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। ময়মনসিংহ সিভিল সার্জন এ বি এম মসিউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন জানান, মৃত ব্যক্তির বোন ও দুলাভাইকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।