৪ অক্টোবরের ব্ল্যাকআউটের ঘটনায় ২ কর্মকর্তাকে বহিষ্কার: নসরুল হামিদ
গত ৪ অক্টোবর দেশব্যাপী ব্ল্যাকআউটের ঘটনায় জড়িত দুই কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আজ (১৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, "আজ তাদের বহিষ্কার করা হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে জড়িত অন্যান্যদেরও খুঁজে বের করা হবে।"
নসরুল হামিদ বলেন, "গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে মূলত তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে, আমরা পিজিসিবি কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। প্রতিবেদন থেকে জানতে পেরেছি, পিজিসিবির দায়িত্ব পালনে গাফিলতি ছিল। এদের মধ্যে দুইজন কর্মকর্তাকে শনাক্ত করা হয়েছে। একজন সহকারী প্রকৌশলী এবং অন্যজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী। তাদেরকে আজ সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হবে।"
গত ৪ অক্টোবর দুপুর ২টা ৫ মিনিটে জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দেয়। এর ফলে সন্ধ্যার পর অন্ধকারে ডুবে যায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের বড় একটি অংশ। এর আগে এরচেয়ে দীর্ঘ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্নতার ঘটনা ঘটলেও সেগুলোর অধিকাংশই ঘটেছিল প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে।
সেদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু হতে শুরু করলেও ততক্ষণে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যায়। বিদ্যুৎহীনতার পুরো সময় ব্যবসা চালাতে হয় ডিজেলচালিত জেনারেটর দিয়ে।
আকস্মিক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ধাক্কা লাগে সর্বত্র—তৈরি পোশাক কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়, বিঘ্ন হয় মোবাইল ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক, ব্যাহত হয় হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা। বিদ্যুৎ না থাকায় ফুয়েল পাম্পে সিএনজি বিক্রিও বন্ধ ছিল। পানি সরবরাহও বিঘ্নিত হয়।
গ্রিড ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে পাওয়ার গ্রিড ট্রান্সমিশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি)।
পিজিসিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা বদরুদ্দোজা সুমন জানান, সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইয়াকুব এলাহী চৌধুরী তদন্তের নেতৃত্ব দেবেন।
তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কমিটিকে তিন দিন সময় দেওয়া হয়। যদিও এ প্রসঙ্গে নসরুল হামিদ জানান, বিদ্যুৎ বিভাগ এখনো লিখিত তদন্ত প্রতিবেদন পায়নি।