আবারও ৭২ ঘণ্টার কর্মবিরতিতে রাজশাহী মেডিকেলের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা
রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করায় আবারও ৭২ ঘণ্টার কর্মবিরতি দিয়েছেন হাসপাতালে কর্মরত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
শনিবার দুপুর ২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের সড়কে আয়োজিত মানববন্ধন শেষে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
মানববন্ধন শেষে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. ইমরান হোসেন জানান, হাসপাতালে ভাঙচুর ও হামলার পরেও পুলিশ মামলা নেয়নি এবং অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আলটিমেটাম শেষ হলেও মামলা দায়ের না হওয়ায় আবারও তিনদিনের কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। তবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও অন্যান্য ওয়ার্ডে চিকিৎসা সেবা অব্যাহত থাকবে।
এর আগে গত ১৯ অক্টোবর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের ছাদ থেকে পড়ে মার্কেটিং শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার মারা যান। তার চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে রাজশাহী মেডিকেলে দফায় দফায় ভাঙচুর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে, হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে বুধবার রাত থেকেই কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে রামেক-এর অধ্যক্ষ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে সমঝোতায় দুই দফা দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। এরপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়ে শুক্রবার (২১ অক্টোবর) থেকে কাজে যোগদান করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের এ কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ফজলে হোসেন বাদশা, হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী, অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. নওশাদ আলীসহ নেতৃবৃন্দ।