ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ক্ষতি নিরূপণে কমিটি
দেশের অন্যতম ভোগ্যপণ্যের বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দোকান ও গুদামে পানি ঢুকে শত কোটি টাকার পণ্য নষ্ট হয়েছে বলে দাবি ছিল ব্যবসায়ীদের। তবে এর কোন নির্দিষ্ট হিসেব কারো কাছে নেই। এজন্য খাতুনগঞ্জে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি। কমিটিকে আগামী তিনদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত সোমবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পাঁচ সদস্যের কমিটিতে সংগঠনটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমকে আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিনকে সদস্য সচিব এবং সহসভাপতি খোরশেদ আলম আলমগীর, নির্বাহী সদস্য মো. হারুন ও হারাধন চৌধুরীকে সদস্য করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মঙ্গলবার দুপুরে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "আমাদের ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দোকান ও গুদামে পানি প্রবেশ করে শত কোটি টাকার পণ্য নষ্ট হয়েছে। অনেকের পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হওয়ায় প্রকৃত দাম পাচ্ছেন না। অনেকে রোদে শুকিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। খাতুনগঞ্জে এখন প্রায়ই জোয়ারের পানি উঠছে। এটা আসলে চিন্তার বিষয়। তাই সিত্রাং ও জোয়ারের পানিতে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, এর প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে কমিটি গঠন করা হয়েছে।"
তিনি আরো বলেন, "আজ সকাল থেকে দোকানে দোকানে গিয়ে পরিদর্শন করছি। কার, কী ক্ষতি হয়েছে সব তথ্য নিচ্ছি। আমরা আগামী বৃহস্পতিবারের (০৩ নভেম্বর) মধ্যে শেষ করবো আশা করি। তদন্ত শেষ করতে পারলে ওইদিন সংবাদ সম্মেলন করে সব তথ্য তুলে ধরা হবে। এরপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হবে।"
কর্ণফুলী নদী দিয়ে পণ্য পরিবহনে সুবিধার কারণে নদীতীর ঘেঁষে এই বাজারটি সুলতানি আমল অর্থাৎ ১৩০০ শতকে শুরু হয়েছিল। মূলত খাল ও নদীর সুবিধার কারণে বাজারটি গড়ে ওঠে। তবে নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত এক দশক ধরে জোয়ারের সময় এই এলাকায় পানি উঠে। বর্ষা ছাড়াও ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব দ্রুত পড়ে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ বাজারে।