রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রূপপুর বিদ্যুৎ সঞ্চালন প্রকল্পে বিলম্ব হচ্ছে: নসরুল
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ২,৪০০ মেগাওয়াটের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) বিদ্যুৎ সঞ্চালন প্রকল্পের কাজ কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বুধবার (৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।
নসরুল বলেন, "তবে কাজ চলছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না হলেও খুব একটা বিলম্ব হবে না প্রকল্পকাজ শেষ করতে।"
"রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট আগামী বছরের শেষের দিকে উৎপাদনে আসার কথা। বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর আগে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে জাতীয় গ্রিডের নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য অন্তত ছয় মাস আগে সঞ্চালন লাইন প্রস্তুত রাখতে হয়," বলেন তিনি।
কিন্তু সংশিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য পাঁচটি প্যাকেজের কাজের মধ্যে রিভার ক্রসিংয়ের কাজের জন্য অর্থায়ন জটিলতায় এখন পর্যন্ত ঠিকাদার চূড়ান্ত হয়নি।
প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালে ১,২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে এবং ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে একই পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।
এ পর্যন্ত প্রায় ৫৩ শতাংশ আর্থিক এবং ৫৫ শতাংশ ভৌত অগ্রগতি হয়েছে প্রকল্পটিতে। তবে প্রথম ইউনিটের সার্বিক অগ্রগতি ৭০ শতাংশ।
রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন বাস্তবায়ন করছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প।
জনশক্তি প্রশিক্ষণসহ প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলার; এই ব্যয়ের ৯০ শতাংশই অর্থায়ন করছে রাশিয়া।