রিপাবলিকানদের প্রতিনিধি পরিষদ জয়: বাইডেনের জন্য কঠিন সময় অপেক্ষা করছে!
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে আশানরূপ ফলাফল দেখাতে না পারলেও প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে বিরোধী রিপাবলিকান পার্টি। তবে একসঙ্গে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে ২১৮টি ভোটই যথেষ্ট। আর তাই রিপাবলিকানরাও একজোট হয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো মঙ্গলবার সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান দলের মনোনীত নতুন প্রতিনিধি কেভিন ম্যাকার্থি সরকারের তহবিল গঠনের মতো মৌলিক কাজগুলো সম্পন্ন করতে সবাইকে ঐক্যমতে আনতে পারবেন, নাকি দলের আরও কট্টর ডানপন্থীদের বিরোধিতার মুখে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে।
হাউজে সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার পর অ্যাজেন্ডা নির্ধারণ করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন কমিটি পরিচালনার দায়িত্বও বর্তাবে তাদের ওপর। একইসঙ্গে এর আগে বাইডেন ও ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে যেসব তদন্ত পরিচালনার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল সেগুলো সামলাতেও এখন হিমশিম খেতে হবে বাইডেনকে।
রিপাবলিকানদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এই ধারণা আছে যে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে তদন্ত করা হয়েছিল। দীর্ঘ চার বছর ডেমোক্র্যাটরা প্রতিনিধি দল দখল করে রেখেছিল। ফলে অধৈর্য্য হয়ে পড়েছে রিপাবলিকানরাও। এবার তাই ক্ষমতা হাতে আসলে আগ্রাসীভাবেই ব্যবস্থা নেবে তারা।
অনেকে বলছেন রিপাবলিকানদের অ্যাজেন্ডা আইনসভার আইন নিয়ে নয়, বরং তদন্ত নিয়েই বেশি আগ্রহী তারা।
বাইডেন পুত্র হান্টার বাইডেনের ওপরেও এবার জোর নজর পড়তে চলেছে। ২০১৮ সাল থেকেই হান্টারের বৈদেশিক বাণিজ্য, কর ফাঁকিসহ বন্দুক কেনায় মিথ্যা বিবৃতি প্রদান নিয়ে তদন্ত চলছে। এবার তাতে আরও ভালোভাবেই ফাঁসবেন বাইডেন জুনিয়র।
লুইসিয়ায়ানার রিপাবলিকান প্রতিনিধি স্টিভ স্ক্যালাইজ দলীয় সহকর্মীদের লেখা এক চিঠিতে বলেন, "বিচার বিভাগের রাজনীতিকরণ থেকে শুরু করে সব সংস্থার চাকরি সংক্রান্ত নীতিতে প্রশাসন যেখানে ব্যর্থ হয়েছে সেখানে আমরা নতুন আলো নিয়ে আসব"।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর কংগ্রেস এখন পর্যন্ত কিয়েভে ৪০ বিলিয়ন ডলারের সামরিক ও মানবিক সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে কট্টর ডানপন্থী রিপাবলিকানরা অসংখ্যবার ইউক্রেনে সহায়তা প্রদান বন্ধ করার ওপর জোর দিয়েছেন। কিন্তু ট্রাম্পের কট্টরপন্থী রিপাবলিকানরা নির্বাচনে ভালো ফল দেখাতে পারেননি। আর নতুন আইনসভায় তাই এই বিষয় নিয়ে খুব বেশি সমস্যা হবে বলে মনে হয় না।