যে কারণে বাতিল করা হয় ইকুয়েডরের গোল
কাতার বিশ্বকাপের পর্দা উঠেছে, একটি ম্যাচও হয়ে গেছে। যে ম্যাচে স্বাগতিক কাতারকে হারিয়ে দুর্বার শুরু করেছে ইকুয়েডর। লাতিন অঞ্চলের দলটির জয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসই পাল্টে গেছে। বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম আয়োজক দেশ হিসেবে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরেছে কাতার। এ নিয়ে চর্চা আছে, তবে সব ছাপিয়ে ইকুয়েডরের বাতিল হওয়া গোল নিয়ে চলছে জোর আলোচনা।
দলের জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এনার ভ্যালেন্সিয়া। দেশটির তারকা এই ফরোয়ার্ডের জোড়া গোলে ২-০ গোলের জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে ইকুয়েডর। হ্যাটট্রিকের দেখাও পেতে পারতেন ইকুয়েডর অধিনায়ক। কিন্তু তৃতীয় মিনিটে তার হেড থেকে করা গোলটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়।
ভিডিও অ্যাসিসট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সাহায্য নিয়ে গোলটি বাতিল করেন মাঠের রেফারি। প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের পর নিশ্চিত হয়ে গোল বাতিল করা হলেও দর্শক মনে এ নিয়ে প্রশ্ন আছে। অফসাইড মনে না হলেও কী কারণে গোলটি বাতিল করা হলো, তা নিয়ে অনেকেই দ্বিধায়।
ম্যাচের দুই মিনিটে ডি-বক্সের বেশ দূরে ফ্রি-কিক পায় ইকুয়েডর। ফ্রি-কিক থেকে নেওয়া শটটি গিয়ে কাতারের ডি-বক্সে থাকা ইকুয়েডরের ফেলিক্স তোরেসের কাছে পড়ে। ফেলিক্সের শরীরে লেগে বল চলে যায় মাইকেল এস্ত্রাদার কাছে, তিনি ছিলেন অফসাইডে। যদিও খালি চোখে দেখে শুরুতে এটাকে অফসাইড মনে হবে না কারও কাছেই।
এ ক্ষেত্রে নিয়মটা একটু ভিন্ন। বল নিয়ন্ত্রণে নিতে গোলরক্ষক এগিয়ে গেলে প্রতিপক্ষ স্ট্রাইকারকে তখন অপর দলের অন্তত দুই খেলোয়াড়ের সঙ্গে সমান লাইনে থাকতে হবে। একজনের থেকে লাইনে এগিয়ে থাকলেও সেটা অফসাইড হয়ে যাবে। বল ধরতে কাতারের গোলরক্ষক যখন এগিয়ে যান, এস্ত্রাদার সামনে কাতারের একজন খেলোয়াড় ছিলেন। এ কারণে গোলটি বাতিল করা হয়।