সাকিব তোপে নাকাল রোহিত-কোহলি, এবার এবাদতের আঘাত
শুরুটা করে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারেই দোপ দাগলেন ডানহাতি এই স্পিনার। তার শিকার শিখর ধাওয়ান। ভারত যখন বাঁহাতি ওপেনারকে হারানোর চাপ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টায়, তখন ঘাতক হয়ে দেখা দিলেন সাকিব আল হাসান। সফরকারীদের ইনিংসে সবচেয়ে বড় দুটি আঘাত দিলেন তিনিই, তিন বলের ব্যবধানে ফেরালেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিকে।
এরপর গুছিয়ে ওঠার চেষ্টা থাকা ভারতের ইনিংসে আঘাত হেনে চাপ বাড়ালেন পেসার এবাদত হোসেন। ২১ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৯৪ রান। ব্যাটিং করছেন লোকেশ রাহুল ও ওয়াশিংটন সুন্দর।
রোববার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তামিম ইকবালের অবর্তমানে নেতৃত্ব পাওয়া লিটন কুমার দাস। জাতীয় দলের ১৫তম অধিনায়কের সিদ্ধান্ত যে ঠিক ছিল, বোলাররা সেটা শুরুতেই প্রমাণ করে দেন।
ষষ্ঠ ওভারে প্রথম আঘাত হানেন মিরাজ। ডটবল খেলতে খেলতে চাপ বাড়িয়ে ফেলা শিখও ধাওয়ান মিরাজকে সুইপ খেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু লাইন মিস করায় বল তার হাতে লেগে ভেঙে দেয় স্টাম্প। ১৭ বলে ৭ রান করে থামেন তিনি।
অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে সাবলীলই মনে হচ্ছিল। পরে যোগ দিয়ে কোহলিও মানিয়ে নিচ্ছিলেন। কিন্তু ১১তম ওভারে ভারতের ইনিংস এলোমেলো করে দেন সাকিব। দ্বিতীয় বলে রোহিতকে ফেরানো সাকিব শেষ বলে সাজঘর দেখিয়ে দেন কোহলিকেও।
৩১ বলে ২৭ রান করা রোহিতের স্টাম্প উপড়ে নেন সাকিব। এই ওভারে তার করা শেষ বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কোহলি। এখানে বিরাট অবদান লিটনের। এক্সট্রা কভার থেকে অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ নেন তিনি। ১৫ বলে ৯ রান করে থামেন কোহলি।
দুই ব্যাটিং ভরসার চাপ কাটিয়ে তোলেন শ্রেয়াস আইয়ার ও লোকেশ রাহুল। তাদের জুটি থেকে আসে ৪৩ রান। তবে ২০ ওভারের শেষ বলে শ্রেয়াসকে ফিরিয়ে এই জুটি ভেঙে দেন এবাদত। ফেরার আগে ৩৯ বলে ২৪ রান করেন শ্রেয়াস।