গোল হওয়ার পর না নেচে থাকতে পারলেন না ব্রাজিল কোচ তিতে!
ম্যাচে গোল করার পর ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড়দের নাচের মাধ্যমে তা উদযাপনের দৃশ্য নতুন নয়। কিন্তু এবার কাতার বিশ্বকাপে খেলোয়াড়দের সেই উদযাপনের যোগ দিলেন ব্রাজিল কোচ তিতেও। বুধবার বিশ্বকাপের নক-আউট পর্বের ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ব্রাজিল। ম্যাচের নব্বই মিনিটজুড়ে ব্রাজিলের দাপুটে খেলায় কোনো সুযোগই পায়নি দক্ষিণ কোরিয়া। তাই নিজের শিষ্যদের অর্জনে মহাখুশি তিতে নিজেও নাচের মাধ্যমেই তার আনন্দ প্রকাশ করলেন।
ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড়দের নাচ নিয়ে এর আগে বিতর্কও কম হয়নি, কিন্তু নাচ যে তাদের সংস্কৃতির একটি বড় অংশ তা আবারও প্রমাণ পাওয়া গেল গুরু-শিষ্যদের নাচের মধ্য দিয়ে! বিশ্বকাপ শুরুর প্রথম দিকেই তিতে বলেছিলেন, ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা যদি নাচের মাধ্যমে তাদের জয় উদযাপন করে তাহলে সেটিকে যেন সম্মানের চোখে দেখা হয়। এবার তিতে নিজেই শামিল হলেন সেই উদযাপনে।
তিতে জানিয়েছেন, খেলার প্রথমার্ধের ভেতরেই দক্ষিণ কোরিয়ার জালে গুণে গুণে চারটি গোল দেওয়ার পর ব্রাজিলের যে বাধভাঙা আনন্দ, তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এই নাচের মাধ্যমে। তিনি মনে করেন, এভাবে উদযাপনের ফলে তার দলের মধ্যে বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে।
"আমরা খেলোয়াড়দের বৈশিষ্ট্যের সাথে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। তারা একেবারেই তরুণ। তাদের ভাষা বোঝার চেষ্টা করি আমি, আর তাদের সেই ভাষার একটি অংশ হলো নাচ", বলেন ৬১ বছর বয়সী এই কোচ।
এমনকি তিতে এও জানিয়েছেন যে খেলোয়াড়রা তাকে ম্যাচের আগেই বলেছিল ম্যাচ জিতে গেলে কোচকেও তাদের সঙ্গে নাচতে হবে।
তবে এবারও ব্রাজিলের এই উদযাপনের ধরনকে যে সবাই স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছেন তা নয়। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক অধিনায়ক রয় কিন বলেন, "তারা বলে যে এটা তাদের সংস্কৃতির অংশ। কিন্তু আমি মনে করি এতে প্রতিপক্ষকে অসম্মান করা হয়।"
তবে তিতের কাছে বিষয়টি আলাদা। তার ভাষ্যে, "এই নাচের মাধ্যমে শুধুই গোল করার আনন্দ, দলের জেতার আনন্দ প্রকাশ করা হয়, এর বাইরে এটির অন্য কোনো ব্যাখ্যা নেই। প্রতিপক্ষকে আমরা কোনোভাবেই অসম্মান করি না, পাওলো বেন্টোকেও (দক্ষিণ কোরিয়ার কোচ) আমি অনেক সম্মান করি।
কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের দেখা হবে ক্রোয়েশিয়ার সাথে। মঙ্গলবার রাতে জাপানকে টাইব্রেকারে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে লুকা মডরিচের দল।
সূত্র: রয়টার্স