বিশ্বকাপ ফাইনালে অসুস্থতা ফ্রান্সের খেলার ওপর প্রভাব রেখেছে বলে দাবি দেশমের
বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্স দলের কয়েকজনের অসুস্থতা পুরো দলের ওপর শারীরিক ও মানসিকভাবে চাপ ফেলেছে বলে উল্লেখ করেছেন দিদিয়ের দেশম, যদিও এ কারণেই তার দল হেরেছে বলে দাবি করেননি তিনি।
আর্জেন্টিনা ফ্রান্সের ওপর খেলার ৮০ মিনিট পর্যন্ত আধিপত্য ধরে রেখেছিল, তবে ৯৭ সেকেন্ডের মধ্যে কিলিয়ান এমবাপ্পের দুই গোল ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ইঞ্জুরির কারণে ফ্রান্স দল ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে কাতারেই নিয়ে আসতে পারেনি, তার ওপর সেমি-ফাইনালের আগে ভাইরাসের কারণে তিনজন খেলোয়াড় অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেমিফাইনাল মিস করে। ফাইনালের আগে আরও দুইজন আক্রান্ত হলেও ফাইনালে সবাই খেলার মতো সুস্থ হয়ে যায় তারপরেও দেশম অসুস্থতার দিকে নজর দিয়ে বলেছেন, তার দল একেবারে ঢিমেতালে খেলার কারণ এই অসুস্থতাই।
"পুরো দলই বেশ একটা কঠিন সময়ে পড়েছে। এর একটা শারীরিক এবং মানসিক প্রভাব রয়েছে। তবে শুরু থেকে যারা খেলেছে তারা ১০০ ভাগ ফিটই ছিল।
"শেষ ম্যাচের জন্য আমাদের হাতে মাত্র ৪ দিন সময় ছিল। তাই আমাদের মধ্যে হয়তো কিছুটা ক্লান্তি কাজ করেছে। এটা কোনো অজুহাত নয়। আগের ম্যাচগুলো যেভাবে খেলেছি, সে রকম খেলার মতো শক্তি আমাদের ছিল না। তা-ই, প্রথম ঘণ্টায় আমরা ম্যাচে সেভাবে পারফর্ম করতে পারিনি।"
দেশমের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। ১০ বছর ধরে ফরাসি দলের দায়িত্বে থাকা এই কোচের মেয়াদ কাতার বিশ্বকাপ পর্যন্তই ছিল। তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে দেশম জানান, "যদি আমরা ফাইনাল জিততামও, তারপরও আমি আজকে এই প্রশ্নের উত্তর দিতাম না। আমি আমার দলের খেলোয়াড় এবং স্টাফদের জন্য প্রচন্ড শোকার্ত। আগামী বছরের শুরুতে আমি [ফ্রান্স ফুটবল] ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টের সাথে কথা বলবো এবং তারপর আপনারা এ ব্যাপারে জেনে যাবেন।"
এমবাপ্পে ১৯৬৬ সালের পর প্রথম এবং ইতিহাসে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিক করলেও হেরে গিয়েছেন। এমবাপ্পে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে দেশম বলেন: "কিলিয়ান এই ফাইনালেই নিজের ছাপ রেখে দিয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সে যেভাবে চেয়েছিল ম্যাচের শেষটা সেভাবে হয়নি। আর তাই অন্য সবার মতো সেও হতাশ।"