আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয় সত্ত্বেও ফিফা র্যাংকিংয়ের শীর্ষে ব্রাজিল
ফ্রান্সকে হারিয়ে ৩৬ বছর পর বিশ্বজয় করলেও আর্জেন্টিনা এই মাসেই ফিফা র্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠতে পারছে না। ফেব্রুয়ারি থেকে এই স্থান দখল করে আছে তাদের দক্ষিণ আমেরিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল, যখন তারা সেখান থেকে বেলজিয়ামকে সরিয়ে দেয়। সেলেসাওরা কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে গেলেও আর্জেন্টিনার ফলাফল তাদের শীর্ষস্থান থেকে সরিয়ে দেওয়ার মতো যথেষ্ট নয়।
ব্রাজিল বিশ্বকাপে ৩টি ম্যাচ জিতেছে, ক্যামেরুনের কাছে একটি হেরেছে এবং ক্রোয়েশিয়ার কাছে পেনাল্টি শ্যুটআউটে হেরেছে। অন্যদিকে, আর্জেন্টিনা জিতেছে ৪টি ম্যাচ, সৌদি আরবের কাছে হেরেছে একটি এবং পেনাল্টি শ্যুটআউটে জয় পেয়েছে দুইটি ম্যাচে, যার মধ্যে ফাইনালটিও রয়েছে।
২০২১ সালে কোপা আমেরিকা শিরোপা জয় কিংবা বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেও সেটি ফিফা র্যাংকিংয়ের ১-এ ওঠার জন্য যথেষ্ট হয়নি কারণ পেনাল্টি শ্যুটআউট থেকে জেতা ম্যাচ থেকে খুব কম পয়েন্ট পাওয়া যায়। যদি ফ্রান্স অথবা আর্জেন্টিনা, যেকোনো একটি দল নির্ধারিত ১২০ মিনিটের মধ্যে জয়লাভ করতো, তবে ফিফা র্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থান দখল করতে পারতো। সেটি না হওয়ায় ব্রাজিল নিজেদের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।
আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্স, দুই দলই বিশ্বকাপের পর বেলজিয়ামকে টপকে একধাপ উপরে, যথাক্রমে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। বেলজিয়াম গ্রুপপর্ব থেকেই ছিটকে পড়ার পর নেমে গিয়েছে দুই ধাপ নিচে। ইংল্যান্ড তাদের পঞ্চম স্থান ধরে রেখেছে, অন্যদিকে অন্য কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট নেদারল্যান্ডস দুই ধাপ উপরে উঠে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে।
সেরা ১০-এ থাকা দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উন্নতি হয়েছে ক্রোয়েশিয়ার। ১২তম স্থান থেকে তারা সরাসরি সপ্তম স্থানে চলে এসেছে। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণই করতে না পারা ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালি দুই ধাপ নিচে নেমে অষ্টম স্থানে অবস্থান করছে। অন্যদিকে, পর্তুগাল নবম স্থান ধরে রেখেছে; তাদের প্রতিবেশি দেশ স্পেন তিন ধাপ নিচে নেমে সেরা ১০-এ জায়গা ধরে রেখেছে।
র্যাংকিংয়ে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে দুটি দেশ, মরক্কো এবং অস্ট্রেলিয়া, যাদের উভয়েই ১১ ধাপ উপরে উঠে এসেছে। সেমিফাইনাল খেলা মরক্কো এখন র্যাংকিংয়ের দিক থেকে আফ্রিকার সেরা দল, যারা ২২ থেকে ১১-তে উঠে এসেছে। অন্যদিকে রাউন্ড অফ সিক্সটিন খেলা অস্ট্রেলিয়া উঠেছে ২৭-এ। তবে এটিই মরক্কোর সেরা র্যাংকিং নয়। ১৯৯৮ সালে তারা দশম স্থান দখল করে রেখেছিল, ২০১৫ সালে যেটি নেমে যায় ৯২ পর্যন্ত!
ব্রাজিলকে হারিয়ে ক্যামেরুনও দশ ধাপ উপরে উঠে এসেছে, অবস্থান করছে ৩৩ নম্বর স্থানে। মেক্সিকোকে হটিয়ে কনকাকাফ অঞ্চলের শীর্ষস্থানে চলে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। তিন ধাপ উপরে উঠে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এখন ১৩, মেক্সিকো দুই ধাপ নেমে রয়েছে ১৫ নম্বরে।
সবচেয়ে বেশি নিচে নামার ক্ষেত্রে সবার আগে রয়েছে কানাডা এবং কাতার, দু'দলই নেমেছে ১২ ধাপ, যথাক্রমে ৫৩ এবং ৬২ নম্বরে। ওয়েলস নয় ধাপ নিচে নেমে ২৮-এ এবং ডেনমার্ক আট ধাপ নিচে নেমে রয়েছে ১৮-এ।
ফিফা র্যাংকিং প্রতি ম্যাচের ফলাফল এবং গুরুত্ব অনুযায়ী পয়েন্টের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়, যেটি আগামী বৃহস্পতিবার অফিশিয়ালি প্রকাশ পাবে।