সংখ্যায় সংখ্যায় ম্যারাডোনা-মেসি
বিশ্বকাপের সোনালী শিরোপায় চুমু এঁকে দেওয়া, কিংবা দু হাতে উঁচিয়ে ধরা। ফুটবলে এর চেয়ে দামি মুহূর্ত আর নেই। এই মুহূর্তটার জন্য কী করেননি লিওনেল মেসি! কিন্তু বিশ্বকাপে আসে বিশ্বকাপ যায়, শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হয় না। একবার নিশ্বাস দূরত্বে গিয়েও অধরা থেকে যায় স্বপ্নের শিরোপা। বাঁ পায়ের জাদু বা মায়াবী বিভ্রমে ফুটবল দুনিয়াকে আচ্ছন্ন করে রাখা মেসি হতাশ হন। কষ্ট-অভিমানে অবসর নিয়ে ফেলেন।
কিন্তু ভালোবাসার টানে ফিরে আসতে হয় আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকরকে। সতীর্থ, ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত ভালোবাসার প্রিয় লিওকে মাঠে ফেরার অনুরোধ করেন। সেই যে ফেরা, এরপর কেবল উপাখ্যান। মেসির হাত ধরে ২৮ বছরের শিরোপা খরা কাটানো আলবিসেলেস্তেরা এবার ফুরিয়েছে ৩৬ বছরের অপেক্ষা।
১৯৮৬ বিশ্বকাপে দিয়েগো ম্যারাডোনার পর মেসিকে দিয়ে শিরোপার স্বাদ নিলো লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের দেশটি। একজন দেশটির ফুটবল ঈশ্বর, আরেকজন মহানায়ক। ম্যারাডোনা ও মেসি; আর্জেন্টিনা ফুটবলের এই দুই স্বপ্নদ্রষ্টা। একই দেশের হলেও শ্রেষ্ঠত্বের আলোচনায় এ দুজনের মধ্যেও হয় তুলনা। সংখ্যায় সংখ্যায় দেখে নেওয়া যাক এ দুজনের অর্জন।
দিয়েগো ম্যারাডোনা | লিওনেল মেসি | |
৯১ | আন্তর্জাতিক ম্যাচ | ১৭২ |
৩৪ | গোল | ৯৮ |
২১ | বিশ্বকাপ ম্যাচ | ২৬ |
৮ | বিশ্বকাপে গোল | ১৩ |
৪ | বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ | ৫ |
বিশ্বকাপে গোল | ||
৪ | গ্রুপ পর্ব | ৮ |
০ | শেষ ষোলো | ১ |
২ | কোয়ার্টার ফাইনাল | ১ |
২ | সেমি-ফাইনাল | ১ |
০ | ফাইনাল | ২ |
আন্তর্জাতিক শিরোপা | ||
১ | বিশ্বকাপ | ১ |
১ | ফিনালিসিমা | ১ |
০ | কোপা আমেরিকা | ১ |
০ | অলিম্পিক | ১ |