দেশের সর্বপ্রথম পাতাল মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
আজ (২ ফেব্রুয়ারি) দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বেলা ১১টার দিকে রূপগঞ্জের পূর্বাচল সেক্টর ৪-এ উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন তিনি।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
নারায়ণগঞ্জ জেলার পিতলগঞ্জে নির্মাণ করা হবে দেশের প্রথম মেট্রোরেলের লাইন-১-এর ডিপো। এ নির্মাণকাজের জন্য জাপানের টোকয়ু কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড ও দেশীয় ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে ডিএমটিসিএল।
লাইন-১ ডিপো তৈরির এ পুরো প্রকল্পটির কাজ ১২টি প্যাকেজের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরই প্যাকেজ সিপি-১-এর আওতায় ডিপো এলাকায় ভূমি উন্নয়ন কাজ শুরু হবে।
এমআরটি লাইন-১ হিসেবে চিহ্নিত এ প্রকল্পের অধীনে বিমানবন্দর থেকে কুড়িল, বাড্ডা, রামপুরা হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯.৮৭ কিলোমিটারের পুরো অংশ থাকবে ভূগর্ভে। পুরো পথ জুড়ে থাকবে মোট ১২টি স্টেশন।
আরেক অংশ হবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে; সেই অংশ নতুনবাজার থেকে শুরু করে কুড়িল হয়ে যাবে পূর্বাচলে। ১১.৩৬ কিলোমিটারের এ পথ জুড়ে থাকবে মোট ৯টি স্টেশন।
পাতাল রেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে মিলে মোট ৩১.২৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ এ প্রকল্পের কাজ ২০২৬ সাল নাগাদ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ পাতাল রেল নির্মাণে ব্যয় হবে ৫২ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে জাপানি ঋণ ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। আর বাকি অর্থ দেওয়া হবে সরকারি তহবিল থেকে।
কর্মকর্তারা বলছেন, মেট্রো পরিষেবার প্রস্তাবিত লাইনে প্রতি ঘণ্টায় ২৭,৭৭০ জন যাত্রী চড়তে পারবেন। ২০২৫ সালে দৈনিক যাত্রীর সংখ্যা ১,৮৮,৭২০০ এ পৌঁছাবে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্মকর্তারা বলছেন, মেট্রোরেল পরিষেবা চালু হওয়ার পর কোলহাপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ভ্রমণের সময় ১৩৯ মিনিট থেকে ২৪.৩ মিনিটে নেমে আসবে, যা ৮৫% ভ্রমণের সময় সাশ্রয় করবে।
লাইনটি পূর্বাচল থেকে নতুন বাজার লাইনে ৭০% এবং পূর্বাচল থেকে কমলাপুর লাইনে ভ্রমণের সময়ের ৮২% সাশ্রয় করবে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেন, প্রস্তাবিত মেট্রোরেল যানজট কমবে এবং নগরবাসীর সময় বাঁচবে।