দুই যুগ আগের তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্পের পুনরাবৃত্তি, কী ঘটেছিল সেবার?
ভোররাতের নিশ্চিন্তের ঘুমে ডুবেছিল গোটা দেশ। তখনই আছড়ে পড়ে দানবীয় বিপদ। ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়ার একটা বড় অংশ। প্রাথমিকভাবে খবর আসে ৩৬০ জনের মৃত্যুর। যে সংখ্যাটা বেলা গড়াতেই ৫০০ ছাড়িয়ে এগোতে শুরু করে। এদিকে আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ভয়াল ঘটনা ১৯৯৯ সালের এক স্মৃতিকে ফের নাড়া দিয়েছে। কী ঘটেছিল সেবার?
১৯৯৯ সালের ভূমিকম্প কারোর কাছে ইজমিত কম্পন, কারোর কাছে কোসায়েলি কম্পন, আবার কারোর কাছে পরিচিত গোলকুক কম্পন নামে। সেবারও সিরিয়া ও তুরস্কের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দুই দেশ। মৃত্যু হয়েছিল ১৭ হাজার মানুষের।
অভিশপ্ত দিনটি ছিল ১৭ আগস্ট। ভূমিকম্পে দুই দেশের একটি বড় অংশের বহু ছোট ছোট গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। ধ্বংসস্তূপে রূপান্তরিত হয় দেশ দুটির কিছু অংশ। সেবার ভূমিকম্পের ছাপ গিয়ে পড়ে ইস্তানবুলেও। আর সেই অভিশপ্ত স্মৃতি বারবার ফিরে এসেছে ২০২৩ এর তুরস্ক-সিরিয়া ভূমিকম্পে।
ইজমিতের সেই ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পে কয়েকটি ছোট শহর প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। ভোর ৩ টে নাগাদ ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল ইজমিত থেকে ৭ কিলোমিটার দূরের একটি স্থান। প্রথম 'শক'টি এসেছিল ১ মিনিটের মাথায়। দুই দিন পর আরও ২টি আফটার শক ঘটে। গোলকুক, দেরিন্স, দারকার মতো এলাকায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা জানা যায়।