সাপ্তাহিক ছুটি, নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া, লাখো পর্যটকে মুখরিত সৈকত
স্বাভাবিক নিয়মে মাঘ মাসের শেষে খুব বেশি শীত হওয়ার কথা থাকলেও কক্সবাজারের পরিবেশ উল্টো। সমুদ্র জেলাটির বর্তমান আবহাওয়া এখন নাতিশীতোষ্ণ। এই আবহাওয়ায় সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত বিপুল সংখ্যক পর্যটকে মুখরিত হয়ে উঠেছে।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী, সী গাল, সুগন্ধা থেকে কলাতলী পয়েন্ট দেড় কিলোমিটার সৈকত জুড়ে দেখা মিলেছে পর্যটকের আনাগোনা।
সৈকতের কিটকট (বীচ ছাতা) বসে অনেকেই উপভোগ করছেন সাগরের বিশালতা। আবার অনেকেই সৈকতের বালিয়াড়িতে ঘোড়ার পিঠে চড়ে ছবি তুলে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
সৈকত ভ্রমণে আসা বিপুল সংখ্যক মানুষের গল্প অনেকটাই একই। সবাই বলছেন, সাপ্তহিক ছুটিতে যান্ত্রিক নগরের ব্যস্ততা থেকে অবকাশ যাপন আর সাগর উপভোগ করতেই এসেছেন তারা।
ঢাকা থেকে স্বপরিবারে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মো. আনারুজ্জামান ও ইসরাত জান্নাত জানান, কর্মব্যস্ত জীবনে পরিবারকে সময় দেওয়া হয় না। তাই সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পরিবারকে একটু সময় দিতে ছুটে এসেছেন সাগরতীরে।
কক্সবাজারে পর্যটকদের রাত্রিযাপনের জন্য ৫ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস রয়েছে। যেখানে প্রতিদিন রাত্রিযাপন করতে পারে লাখের বেশি মানুষ।
হিসাব মতে, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজারে লাখের বেশি পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন বলে জানিয়েছেন হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার।
তিনি জানান, "শীত মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকে মুখরিত সাগরতীর। ভালো ব্যবসা হওয়ায় খুশি ব্যবসায়ীরাও।
সৈকতের লাবণী পয়েন্টে দায়িত্বরত ট্যুরিস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ ইসমাইল জানান, কক্সবাজারে এখন লাখের বেশি পর্যটক। পর্যটকদের নিরাপত্তায় সৈকতসহ পর্যটন স্পটগুলোতে তৎপর রয়েছেন তাদের সদস্যরা।
কমপক্ষে ৪ হাজার পর্যটক শুক্রবার সকালে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে গেছেন বলে জানান তিনি।