খুলে দেওয়া হচ্ছে স্থলবন্দর, পর্যায়ক্রমে চালু গণপরিবহন
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে চলমান সাধারণ ছুটি ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হলেও বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যক্রম ঢাকাসহ সারাদেশে সীমিত পর্যায়ে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এদিকে, চলমান পরিস্থিতিতে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটিও ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি শেষ হলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি সমন্বয় করা হবে। বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ঢাকাসহ সব বিভাগ এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যে ১৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ খোলা থাকবে সেগুলো হলো, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, কৃষি, বাণিজ্য, খাদ্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন, সমাজকল্যাণ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশের সকল নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে কার্যক্রম চলমান থাকলেও স্থলবন্দরগুলো বন্ধ ছিলো। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে স্থলবন্দরগুলো খুলে দেওয়ার কথা বলা হয়।
এতে আরও বলা হয়, জরুরি সেবা যেমন ;বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর ( স্থল, নদী ও সমুদ্র বন্দর) কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং সংশ্লিষ্ট সেবাকাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির বাইরে থাকবেন। সড়ক ও নৌপথে সব ধরনের পণ্য পরিবহনের সঙ্গে নিয়োজিত যানবাহন (ট্রাক, লরি, কার্গো ভেসেল ইত্যাদি) চলাচল অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়া কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্প পণ্য, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের মালামাল, কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এসবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ক্ষেত্রে এই ছুটি প্রযোজ্য হবে না। চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী, ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মী এবং গণমাধ্যমে ( প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক) নিয়োজিত কর্মীরা এই ছুটির আওতাবহির্ভুত থাকবেন।
এতে বলা হয়, পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতে শিল্প-কারখানা, কৃষি এবং উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো ও গণপরিবহন পর্যায়ক্রমে উন্মুক্ত করা হবে। এছাড়া ছুটিকালীন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে না।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়ার পর গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল এবং পরে ৫ থেকে ৯ এপ্রিল, এরপরে ১৪ এপ্রিল এবং সর্বশেষ ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছিল। এই সাধারণ ছুটিতে গণপরিবহন ছাড়াও জরুরি সেবায় নিয়োজিত ছাড়া সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর পাশাপাশি দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে ১৮ মার্চ থেকে।