'প্রবাসী কর্মী' বীমার মুনাফা থেকেও লভ্যাংশ পাবেন প্রবাসী কর্মীরা
বিদেশগামী বাংলাদেশিদের সুরক্ষায় বাধ্যতামূলক বীমা চালু করেছে সরকার। এবার বীমার প্রিমিয়াম বাড়িয়ে বীমার মেয়াদ পাঁচ বছর ও বীমা দাবি বাড়িয়ে ১০ লাখ টাকা করা হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে নতুন এই বীমা চালু করা হলেও এবার নতুন বিধি যুক্ত করে রোববার (১২ মার্চ) জীবন বীমা কর্পোরেশন ও ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড আবার চুক্তি সই করেছে।
প্রবাসী কল্যাণ ভবনের বিজয় ৭১ অডিটরিয়ামে জীবন বীমা কর্পোরেশনের সঙ্গে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের পাঁচ বছর মেয়াদি প্রবাসীকর্মী বীমা চুক্তি সম্পাদন হয়।
অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি বলেন, "সরকার প্রবাসী কর্মীদের আর্থ-সামাজিকভাবে লাভবান করার জন্য বাধ্যতামূলক বীমা চালু করেছে। এই বীমার পাশাপাশি প্রবাসী কর্মীদের কল্যাণে আরও সুবিধাযুক্ত অন্যান্য বীমা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে।"
বীমার সুবিধা যেন প্রবাসী কর্মীরা কাজে লাগাতে পারেন সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
চুক্তি অনুযায়ী, বীমা পরিকল্পনা থেকে যে মুনাফা হবে, তার অর্ধেক পাবে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড, যা প্রবাসীকর্মীদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে।
বাংলাদেশ জীবন বীমা কর্পোরেশন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড যৌথভাবে এই 'প্রবাসীকর্মী বীমা' বাস্তবায়ন করছে। এককালীন ১,০০০ টাকা প্রিমিয়াম দিয়ে একজন প্রবাসী কর্মী সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত বীমা সুবিধা পাবেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, "প্রবাসী কর্মীরা যাতে ঝুঁকিমুক্তভাবে বিদেশে তাদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করাই আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার। একইসঙ্গে, তাদের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করেই প্রবাসী বীমা চালু করা হয়েছে।"
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজির আহমেদ এমপি, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী।
ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড-এর মহাপরিচালক মোঃ হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মোঃ শহীদুল আলম ও জীবন বীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মিজানুল হক চৌধুরী।