আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকেও টোল আদায় করুন: প্রধানমন্ত্রী
দেশের আঞ্চলিক সড়কগুলোকে পর্যায়ক্রমে একটি টোল ব্যবস্থার আওতায় আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ফলে প্রথমবারের মতো আঞ্চলিক মহাসড়কেও টোল আদায় চালু হতে চলেছে।
পরিকল্পনা কমিশনের সচিব সত্যজিত কর্মকার বলেন, আজ মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (একনেক) এর সভায় প্রধানমন্ত্রী সড়ক নির্মাণে সরকারের বিপুল বিনিয়োগের দিকটি তুলে ধরেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলেন, আঞ্চলিক মহাসড়কে টোল আদায় করা হলে সেটা মানুষের মধ্যে টোল দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবে।
দেশে মোট ৪,৮৯৭.৭১ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক নেটওয়ার্ক রয়েছে। এছাড়া রয়েছে জাতীয় ও জেলা পর্যায়ের সড়ক।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা টিবিএসকে জানান, বর্তমানে শুধু ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে টোল আদায় করা হয়, যা একটি জাতীয় মহাসড়ক।
একনেক সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান গণমাধ্যমকে জানান, আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। 'তাই এসব রাস্তাঘাটে চলাচলের জন্য ন্যূনতম হারে টাকা দিতে হলে আমাদের আপত্তি নেই।'
নতুন জেলা সদরগুলো জাতীয় বা জেলা সড়ক দিয়ে যুক্ত না হওয়ায়, আঞ্চলিক মহাসড়কগুলো এক অঞ্চলের সাথে অন্য অঞ্চলের সংযোগ স্থাপন করে। জাতীয় গুরুত্বের বিচারে জাতীয় মহাসড়কের নামানুসারে, নাম ও সংখ্যা দিয়ে আঞ্চলিক মহাসড়কের নামকরণ করা হয়। যেমন কুমিল্লা-লালমাই, আর-১৪০; এখানে 'আর' অর্থ রিজিওনাল বা আঞ্চলিক। শুধুমাত্র সড়ক ও জনপথ বিভাগ অধিপ্তরের সদর দপ্তর এসব সংখ্যা পরিবর্তন করতে পারে।
অন্যদিকে, রাজধানীসহ বিভিন্ন বিভাগ ও পুরোনো জেলা সদর, বন্দর নগরী ও আন্তর্জাতিক মহাসড়ককে যুক্ত করেছে জাতীয় মহাসড়কগুলো। জাতীয় গুরুত্ব ও ভৌগলিক অবস্থানের ভিত্তিতে এসব সড়কে জাতীয় মহাসড়কের শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে। এগুলোর নামকরণেও নাম ও সংখ্যা ব্যবহার করা হয়। যেমন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে এন-১ বলা হয়। এখানে এন' অর্থ ন্যাশনাল বা জাতীয়। প্রয়োজনে এ সংখ্যা পরিবর্তন করতে পারে সড়ক ও জনপথ বিভাগ অধিপ্তরের সদর দপ্তর ।
জেলা সড়কগুলো উপজেলা সদরসহ গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অঞ্চলকে বিদ্যমান সড়ক নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত করে।