ফ্রেমের চেয়ে বড় মাপের মানুষ ছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী
চারদিকে স্যার ডাকা না ডাকার তর্কবিতর্ক যখন চলছে যুগপৎ, তখনই একজন সত্যিকারের স্যার ও সত্যিকারের ভাই বিদায় নিলেন। আমি ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে ১৯৮০'র দশক থেকেই স্যার ডাকতে চেয়েছি, পারিনি। ডেকেছি জাফরুল্লাহ ভাই।
চাকরিসূত্রেই বারবার তার সাথে দেখা হয়েছে, সরকারি চাকরিজীবনের আকস্মিক সমাপ্তির পরও তা অব্যাহত রয়েছে। তার বিবেচনায় বেশকটি কাজ অসমাপ্ত (আমাকে যে কটা বলেছেন তার সবই সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা সহজলভ্য করতে আরো হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা, আরো কিছু ডায়ালাইসিস সেন্টার করা, আরো সস্তায় প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির রিপোর্ট দেওয়া, আরো বেশি সংখ্যায় গুণগত মানের মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট তৈরি করা ইত্যাদি) রেখে গেলেও এক জীবনে জাফরুল্লাহ চৌধুরী দেশের জন্য যা করে গেছেন তার সমতুল্য কিংবা কাছাকাছি মাপের দ্বিতীয় একজন খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে।
আমি যখন তার সাথে শেষ সাক্ষাৎ করি তিনি অসমাপ্ত কাজের সংখ্যা কমিয়ে পাঁচে নামিয়ে এনেছেন। বললেন এরপর মৃত্যু হলে আফসোস থাকবে না। আমি অনেক বছর তার বাড়ির দুশ গজের মধ্যে ভাড়া বাড়িতে থেকেছি, ধানমন্ডি ৯/এর গাছগাছালি ঘেরা সে বাড়ির দিকে আসা-যাওয়ার পথে তাকিয়ে থেকেছি। বাড়িটি ঠিক তার নয়, শিরিন ভাবির পৈত্রিক বা মাতৃক বাড়িও বলা যেতে পারে।
১৯৮০ সালে জাফরুল্লাহ চৌধুরী একটি অসনাতন কাজ করলেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে প্রকাশ করলেন 'ঝগড়াপুর' নামের একটি গবেষণাগ্রন্থের বাংলা অনুবাদ। নারী, গ্রামীণ সমাজকাঠামোতে নারীর অবস্থান, নারীর ভূমি মালিকানা- সব মিলিয়ে একটি অসাধারণ গ্রামীণ আর্থ-সামাজিক চিত্র। নেদারল্যান্ডসের এক দম্পত্তির এই গবেষণা গ্রন্থটি। অনূদিত বইটি প্রশাসনকে তেমন আকৃষ্ট করতে না পারলেও 'অ্যাকামেডিয়া'কে বেশ একটা ধাক্কা দিল। চেয়ার-টেবিলে বসা পরিসংখ্যান ঘষামাজা করা গবেষণা নয়, প্রতিনিধি পাঠিয়ে গোজামিলের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ নয়, গবেষককে মাঠে যেতে হবে; সংকটের বহিরাবরণ নয়, ভেরতটা দেখতে হবে। অনস্বীকার্য বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক গবেষণায় একটি মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া গ্রন্থ ঝগড়াপুর (প্রকৃত গ্রাম মেহেরপুরের গাংনির বেনিয়াপুকুর) জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কারণেই আমরা পেয়েছিলাম।
আমাদের বড় ডাক্তাররা প্রয়াত জাফরুল্লাহ চৌধুরীর গুণকীর্তন করবেন সন্দেহ নেই, কিন্তু ১৯৮০-র দশকের শুরুতে ঔষধ নীতিমালা নিয়ে তার প্রস্তাবিত চিকিৎসাব্যবস্থা নিয়ে তাকে প্রায় সকলেই কমবেশি গালমন্দ করেছেন। ডাক্তারের শোষণমূলক ফি কমাতে হবে, রাজধানী আর জেলা শহরেই নয়, ডাক্তারকে গ্রামেও সেবা দিতে হবে- এটা তার মুখ দিয়ে উচ্চারিত হওয়া গণমানুষের দাবি। তিনি সমর্থন পেয়েছেন অগুণতি মানুষের এবং খুব কমসংখ্যক চিকিৎসা পেশাজীবীর।
বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল তাকে বিভিন্নভাবে চিহ্নিত করেছে, তাকে সিআইএর এজেন্টও বলা হয়েছে (এটা তার নিজের বক্তব্য)। ১৯৮০-র দশকে আমি শুনেছি জাফরুল্লাহ চৌধুরী ইন্ডিয়ান এজেন্ট, যারা বলেছেন তারা ঔষধ ব্যবসায়ী এবং চিকিৎসক। তাদের ভাষ্য, বিদেশি সব ভালো ভালো নিত্য প্রয়োজনীয় ও জীবন রক্ষাকারী ঔষধ সরকারকে দিয়ে নিষিদ্ধ করিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী দেশের ঔষধ বাজারে শূন্যতা সৃষ্টি করবেন যাতে প্রতিবেশী দেশের ঔষধে বাংলাদেশ ছেয়ে যায়। তিনি আসলে ভারতের কয়েকটি ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট এবং কয়েকটি ভারতীয় হাসপাতালের স্বার্থে কাজ করছেন- এমন দাবী করেন তারা।
কোনো রাখডাক না করে তখন আমি বললাম, কেউ কেউ আপনাকে ইন্ডিয়ান এজেন্ট বলছেন। তিনি হেসে উঠলেন। বললেন, 'আমাকে কেউ এজেন্সিশিপ দেবে না। চেষ্টা করলে নিতে পারবো না।'
তার ব্যাখ্যাটা সহজ। আমাদের দামি ঔষধের দরকার নেই। খুব সস্তায় কাঁচামাল এনে আমরাই ঔষধ বানাবো। মেডিসিন মাফিয়ারা ভয়ংকর, কাঁচামালের দাম তারা জানতে দেয় না। ইন্ডিয়ান ঔষধের দামের সিকিভাগ দামে আমরা ঔষধ তৈরি করতে পারব, ঔষধের সরবরাহ দিতে পারব। আমাদের ঔষধের দাম বেশি হলে চোরাচালানিরা ওখানকার ঔষধ বাংলাদেশে নিয়ে আসবে। একই ঔষধ কম দামে বাংলাদেশে পাওয়া গেলে বর্ডার খুলে দিলেও ইন্ডিয়ান কোনো ঔষধ ঢুকবেনা। স্মাগলাররা লাভ-ক্ষতির হিসেবে খুব সেয়ানা। চিন্তার কারণ নেই, বরং উল্টোটা হবে।
ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী হিসেবটি যে কতোটা অভ্রান্ত আড়াই দশক আগে তার বাস্তব প্রমাণ পেয়েছি দুটো কর্মক্ষেত্রে- ময়মনসিংহ ও কক্সবাজারে। সীমান্তরক্ষীদের হাতে আটক ভারত ও মিয়ানমার অভিমুখী চোরাচালান সামগ্রীর মধ্যে পাওয়া গেছে ট্রাকভর্তি বাংলাদেশি ঔষধ।
১৯৮০-র দশকের শেষদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর 'ইমপিউনিটি' নিয়ে ট্রান্সপ্যারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ও অপর একটি সংস্থা আয়োজিত একটি আলোচনায় কর্মজীবী হিসেবে আমি আমন্ত্রিত হয়েছিলাম, জাফরুল্লাহ চৌধুরী নিজগুনে। পাশাপাশি বসলাম, এই প্রথম তার পাশে বসা। ঝাকড়া চুলের বাবরি দোলানো মানুষটি জিজ্ঞেস করে বসলেন, 'আলোচনার জন্য সম্ভ্রান্ত এলাকায় হল ভাড়া, মিটিং-এর চা বিস্কুট অন্যান্য খরচ কোত্থেকে এলো সেই হিসেবের স্বচ্ছতা আছে তো? স্বচ্ছতা চর্চা নিজেরা না করে অন্যকে স্বচ্ছ হতে কেমন করে বলবেন।'
এরশাদ উত্তর বহুলকথিত গণতান্ত্রিক উত্তরণের কাল এখনও অব্যাহত। একজন অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি চিকিৎসা কিংবা চেকআপ করাতে বিদেশ যাচ্ছেন, সঙ্গে বেশ কজন। রাষ্ট্রের টাকার মচ্ছব। ঘটনাচক্রে আমি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কাছাকাছি আসতেই তিনি বললেন, সেই অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির পেছনে রাষ্ট্রের কতো টাকা খরচ হলো তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তিনি স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর, দেশের স্বনামধন্য ডাক্তারদের উপর অমোচনীয় একটি চপেটাঘাত করে গেলেন। তিনি জানিয়ে গেলেন, তার নিজের দেশের উপর তার আস্থা নেই।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বললেন, 'মানুষ যতো বড় হবেন যতো উপরে যাবেন, দেশকে তার ততো বেশি 'own' করতে হবে। নতুবা তিনি দেশবাসীকে ভুল বার্তা দিয়েই যাবেন।'
ক'বছর আগে মিরপুর সড়কে ৩২ নম্বর রোডের কাছাকাছি একটি রেস্তোরায় তার সাথে খাওয়ার সুযোগ হয়েছে, খাওয়াচ্ছেন শিরিন ভাবি, আছেন আরো একজন, তিনি বর্তমানে একটি রাষ্ট্রীয় থিঙ্ক ট্যাংকের প্রধান নির্বাহী। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কিডনি সমস্যা তখনও প্রকট হয়নি। খাওয়ার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তার কথা। এক বসাতেই গবেষণা করার মতো অন্তত দশটি নগর সমস্যার উল্লেখ করলেন। জিজ্ঞেস করলেন, রাস্তার মিডিয়ানে গাছ লাগানো আর পরিচর্যার কাজটা থেমে গেলো কেনো?
২০০৪-২০০৫ সালে আমি অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলাম। কাজটার শুরু যখন, তখন উৎসাহদাতাদের একজন ছিলেন তিনি। আমি অকপটে স্বীকার করি কাজটাকে আমরা ইনস্টিটিউশনালাইজ করতে পারিনি। আমাদের অনেক কাজই ব্যক্তিভিত্তিক।
জাফরুল্লাহ ভাই জানতেন দুর্ঘটনায় অকাল প্রয়াত অ্যাকশন এইড প্রধান তার শ্যালিকা নাসরিন এবং তার স্বামী নূরুল ইসলামের সাথে আমার সখ্যতা ছিল। নাসরিন হলিডেতে নিয়মিত লিখতেন।
২০১৮-র আগস্টে একটি সাক্ষাৎকারের সূত্রে বিখ্যাত ফটোগ্রাফার শহীদুল আলম গ্রেপ্তার হলেন। হয়ত গুজবই হবে, এ মুখ ও মুখ হয়ে আমার কানে এলো শিগগিরই জাফরুল্লাহ চৌধুরীও গ্রেপ্তার হবেন। তার বিরুদ্ধে মামলার মুসাবিদা হয়েছে কিংবা হচ্ছে। তিনি গ্রেপ্তার হতেই পারেন এ নিয়ে আমার মন্তব্য নেই। কিন্তু আমি জানি তিনি কিডনি সমস্যায় ভুগছেন। অন্তত ঔষধপত্র যেনো সাথে নিয়ে যান একটুকু তাকে জানানোর তাগিদ অনুভব করে আমার বাসা থেকে তিন চার মিনিটের পথ হেঁটে তার বাসার গেটে হাজির হই। এদিক ওদিক তাকাই। এই গেটে কখনো প্রহরী দেখিনি। ভেতরে ঢুকি; ভাবি ছিলেন। আমার কানে আসা কথাটা তাকে জানাই।
ঔষধ, ডায়ালিসিস এসব প্রসঙ্গ আসে। তিনি এতোটুকুও বিচলিত নন। শুধু বললেন, কিছু কাজ করার এখনো বাকি আছে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্বাধীন বাংলাদেশের সাথে নিজের আয়ুষ্কাল জড়িয়ে নিয়েছিলেন। আমি তার মুখে শুনেছি, আরও অনেকেই শুনেছেন এবং তার লেখাতেও পড়েছেন- ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ ছিল তার নিশ্চিত মৃত্যুর দিন। তারপর যতোদিন বেঁচে আছেন পুরোটাই এক্সটেনশন। ৫১ বছর ৪ মাস এক্সটেনশন পেয়ে ১১ এপ্রিল ২০২৩ তিনি সত্যিই বিদায় নিলেন।
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ অপরাহ্নে ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের অনুষ্ঠান। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওসমানী সে অনুষ্ঠানে থাকবেন না কারণ তাকে সেখানে রাখার 'রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত' হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ তার এডিসি শেখ কামাল। সেদিনই সেনাপ্রধানের নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি ছোট উড়োজাহাজে ওসমানী সাহেবের ইচ্ছেতে এডিসি শেখ কামাল, যুদ্ধদিনের ডাক্তার ও সংগঠক জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং আবদুর রব (পরবর্তী সময় মেজর জেনারেল) সিলেটের দিকে রওয়ানা হন। ফেঞ্চুগঞ্জের আকাশে তাদের উড়োজাহাজের উপর গুলিবর্ষণ চলতে থাকে। জেনারেল রব গুলিবিদ্ধ হন। জাফরুল্লাহ চৌধুরী নিজের জ্যাকেট খুলে তার ক্ষতস্থানে চেপে ধরেন। প্লেনটা মাটিতে পরে আগুন ধরার পূর্ব মুহূর্তে তিনি টেনে শেখ কামাল ও আবদুর রবকে বের করেন, ওসমানী এবং পাইলট নেমে আসেন। মুহূর্তেই ভয়ংকর বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস হয়ে যায় সেই উড়োজাহাজ। নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে তারা বেঁচে যান।
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ গুলি করে উড়োজাহাজ নামানোর সামর্থ পাকিস্তানি বাহিনীর ছিলো না এবং ফেঞ্চুগঞ্জের আকাশে তো নয়ই। যে দুর্ঘটনায় জেনারেল ওসমানীসহ চারজন খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বের তাৎক্ষণিক মৃত্যু ঘটতে পারত সেই আক্রমণকারীদের কথা উচ্চারিতই হয় না। কিংবা জাফরুল্লাহ চৌধুরী লিখিতভাবে এ কথা সংবাদপত্রে জানানোর পরও কেউ বলেননি, এটা ঠিক নয়।
১৯৭১ এ স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে আয়েশী জীবনযাপন করে, বৃত্তি নিয়ে বিদেশ গমন করে, এমনকি আগস্ট সেপ্টেম্বরেও বড় বেতনে চাকরি নিয়ে বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকায় ও অন্যান্য সংস্থায় কাজ করে দেশে ফিরে স্বাধীনতার সৈনিক সেজেছেন কেউ কেউ। অথচ বিলেতের অসীম সম্ভাবনার ও আয়েশী জীবন ছেড়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। একাত্তরের যুদ্ধদিনে ফিল্ড হসপিটাল, পরবর্তীকালের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তারই সৃষ্টি।
তিনি স্বস্তির সাথে কাজ করতে পেরেছেন বলার সুযোগ নেই। গণস্বাস্থ্যের করোনার কিট নিয়ে বাধা তো সেদিনের ব্যাপার। ১৯৯২ সালে আমি তখনকার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চাকরি করছি। সুসংগঠিত এক বিশাল অভিযোগ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ পাঠ করলে তাকে একালের ভূমিদস্যু ছাড়া আর কিছু ভাবার উপায় নেই। চেনাজানা ছিলেন বলেই তাকে ফোন করলাম। তিনি এলেন। বহু সংযুক্তিসহ সুলিখিত অভিযোগপত্রটি তাকে পড়তে দিলাম। প্রথম পাতাটি পড়েই বললেন জমিজমা সম্পর্কে আমি যে এতো জ্ঞানের অধিকারী এই প্রথম জানলাম।
জীবনের চেয়ে বড় মাপের এই মানুষটিকে নিয়ে লেখার অনেক বিষয় রয়েছে। আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যখাতে তার অবিস্মরণীয় উদ্যোগ এবং অবদান। আর আমার কাছে সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে তার খানিকটা রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা। জাফরুল্লাহ চৌধুরী যা সত্য মনে করতেন নিঃসঙ্কোচে বলে যেতে পারতেন। অনাচারের বিরুদ্ধে, প্রাতিষ্ঠানিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মানুষ তিনি। এখন আর সত্য বলার সাহসী মানুষ নেই।
- লেখক: সাবেক ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা