যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য সংঘাতের শঙ্কায় ফের তেলের দরপতন
অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বাণিজ্যের ইতিহাসে ২০২০ এর দশকের শুরুটা এক মহাআপদকালীন সময় হিসেবেই পরিচিতি পাবে। মহামারির থাবায় যখন প্রণোদনা দিয়ে হলেও তেলকুপ সচল রাখতে উৎপাদিত তেল বিক্রি করতে হচ্ছে, ঠিক তখনই নতুন বিপদ হিসেবে দেখা যাছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ফের বাণিজ্য সংঘাতের প্রাথমিক পরিস্থিতি।
সাম্প্রতিক সময়ে চীনের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার নিয়মিত অভিযোগ করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এশিয় অর্থনৈতিক পরাশক্তিটির ওপর মহামারি সৃষ্টির জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ে নতুন করে শুল্কারোপের কথাও বলেছেন তিনি।
এ প্রেক্ষিতে নিম্নগামী বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের দর গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে কিছুটা বাড়লেও, আজ সোমবার তা ফের পড়তির দিকে অবস্থান নিয়েছে। নানা দেশের লকডাউন শিথিল করার খবরেও এ প্রবণতা বন্ধ হয়নি। খবর রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে নতুন করে বাণিজ্য নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে তা বিশ্ব অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর পক্ষে সহায়ক হবে না- এমন আশঙ্কা থেকেই মূলত তেলের দরপতন হয়েছে।
সোমবার ভারি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মার্কিন বাজার সূচক- ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ফিউচার্স অনুসারে ব্যারেল প্রতি তেলের দর ১৮ দশমিক ৩২ ডলারে নেমে আসে। অর্থাৎ, আগের তুলনায় দর কমেছে ১ দশমিক ৪৬ ডলার বা ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। অথচ গত সপ্তাহেই রাশিয়া ও সৌদির সরবরাহ কর্তন এবং চীনা অর্থনীতি সচল হওয়ার প্রেক্ষিতে এই দর ১৭ শতাংশ বেড়েছিল।
একই অবস্থা দেখা গেছে লাইট বা ব্রেন্ট ক্রুডের এলসিওসি১ সূচকেও, যাতে ৯০ সেন্ট বা ৩ দশমিক ৪ শতাংশ দর কমে। এর ফলে ব্যারেল প্রতি দর ২৫ দশমিক ৫৩ ডলারে পৌঁছে। এর আগের সপ্তাহে টানা তিন সপ্তাহ মুল্যপতনের পর ব্রেন্ট ক্রুডের ব্যারেল প্রতি দর ২৩ শতাংশ বেড়েছিল।