চিনি ব্যবসায়ীরা বাড়তি চাহিদার সুযোগ নিচ্ছেন: বাণিজ্যমন্ত্রী
চিনির মূল্যবৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীদের দায়ী করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ঈদকে সামনে রেখে পণ্যটির চাহিদা বাড়ার সুযোগ নিচ্ছেন কিছু ব্যবসায়ী।
গতকাল সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত জুট প্রোডাক্ট বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের (জেপিবিপিসি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বাড়তি চাহিদার চাহিদার সুযোগ নিয়ে নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দামে চিনি বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
চলতি বছরের ৬ এপ্রিল সরকার প্রতি কেজি দাম ৩ টাকা কমিয়ে পরিশোধিত প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম ১০৪ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ১০৯ টাকা নির্ধারণ করে।
কিন্তু ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১২ থেকে ১১৫ টাকায়।
সম্প্রতি বিশ্ববাজারে চিনির দাম কিছুটা বেড়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বেশি দামের চিনি এখনো বাংলাদেশে পৌঁছায়নি।
ছোট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হলেও মনিটরিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মুরগির দাম বেশি হওয়া প্রসঙ্গে টিপু মুনশি বলেন, এর কারণ উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া।
তিনি আরও বলেন, মুরগির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
'তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রায়ই ব্যবসায়ীদের সব পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বলে। পাশাপাশি জাতীয় ভোক্তা সুরক্ষা অধিদপ্তরও বাজারে অভিযান চালায়,' বলেন তিনি।