অনলাইনে মদ বিক্রির উদ্যোগ নিলো পশ্চিমবঙ্গ সরকার
লকডাউন শিথিল করে প্রয়োজনীয় কিছু ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড চালুর অনুমতি দেওয়ার পরেই ভারতের রাজধানী দিল্লিসহ নানা জায়গায় মদের দোকানগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এসময় সামাজিক দূরত্ব না মেনেই অনেকে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে মদ কেনেন।
এ ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।
যার আওতায় এবার খুচরো বিক্রয়কারীদের পাশাপাশি সাধারণ গ্রাহকেরাও অনলাইনে মদ 'বুক' করতে পারবেন। রাজ্যটির সরকারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ওয়েস্টবেঙ্গল স্টেট বেভারেজ কর্পোরেশনের পোর্টালে গিয়ে গ্রাহকেরা ই-রিটেল মোবাইল অ্যাপলিকেশনের মাধ্যমে সরাসরি মদ কিনতে পারবেন। খবর আনন্দবাজারের
অ্যাপটি প্রাথমিক ভাবে খুচরো বিক্রয়কারীদের জন্য খোলা হলেও সাত দিনের মধ্যে সাধারণ গ্রাহকও এই সুবিধা নিতে পারবেন বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে। এর জন্য ২১ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি পোর্টালে নিজের নাম-ধাম, ফোন নম্বর ইত্যাদি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে মদ কেনার আবেদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যগুলির যখন লকডাউন পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হয়, সেখানে নিত্য প্রয়োজনীয় নয়, এমন পণ্যের বিষয়টিও ওঠে। তখনই যে কোনও ধরনের পানীয়ের দোকান খোলার ব্যাপারে কেন্দ্র সম্মতি দেয়।'
এরপরেই গতকাল মঙ্গলবার মেদিনীপুর থেকে কোচবিহার, পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সর্বত্র মদের দোকানের সামনের লাইনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার স্বাস্থ্যবিধি কার্যত উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
যদিও মাস্ক ছাড়া মদ নয়, এই বিধি অনেক জায়গাতেই কড়া ভাবে মেনে চলেছেন দোকানিরা। যেমন হুগলির পাণ্ডুয়া ব্লকের ক্ষীরকুন্ডিতে। মদ কিনতে এসেছিলেন লক্ষ্মণ সরেন। তিনি বলেন, 'মাস্ক না থাকায় দোকানদার মদ দিলেন না। বাধ্য হয়ে ৫০ টাকা দিয়ে নতুন গামছা কিনে মুখ বেঁধে তার পরে মদ কিনলাম।'
অনেক জায়গায় পুলিশ পথে নেমে লাঠি হাতে বা মাইকিং করে ভিড় সামলেছে। তাদের সঙ্গে ছিল শুল্ক দফতরের লোক।