জমে উঠেছে আবাহনী-শেখ জামালের শিরোপার লড়াই
লিগ পর্বে লড়াইটা ছিল মূলত শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও আবাহনী লিমিটেডের মধ্যে। অপ্রতিরোধ্য এই দুই দল ১১ ম্যাচের ১০টি করে জেতে। রান রেটে এগিয়ে থাকায় শীর্ষস্থান দখলে থাকে শেখ জামালের। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগ পর্বেও রেস চলছে এই দুই দলের মধ্যে, শিরোপার লড়াইয়ে আছে কেবল তারাই। তবে এবার স্থান পাল্টেছে, শীর্ষস্থানে আবাহনী; দুইয়ে শেখ জামাল। এই দল সোমবার জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে, আরেক ম্যাচে জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ১৩ রানের জয় পেয়েছে শেখ জামাল। বিকেএসপির তিন নম্বর গ্রাউন্ডে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে চার উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ২০ রানে হারিয়েছে মোহামেডান।
১৩ জয়ে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আবাহনী, ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবটির শিরোপা জয়ের সুযোগই বেশি। তবে তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলা শেখ জামালেরও আছে সুযোগ। ২৪ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে শেখ জামাল। কিন্তু বাকি থাকা দুই ম্যাচে আবাহনী জিতলে তাদের হাতেই উঠবে শিরোপা। আর আবাহনী এক ম্যাচে হারে এবং শেখ জামাল বাকি দুই ম্যাচে জেতে, তাহলে পয়েন্ট সমান হবে দুই দলের। হেড টু হেডের হিসাবে শিরোপা নিশ্চিত হবে।
বিকেএসপিতে আবাহনীর বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে মাশরাফির দল রূপগঞ্জ। রিপন মন্ডল, খুশদিল শাহদের বোলিং তোপের মুখে বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি তারা, ৪৭.২ ওভারে ২৩০ রানে গুটিয়ে যায় রূপগঞ্জ। ইরফান শুক্কুর ৫২, চিরাগ জানি ৫০ ও জাওয়াদ রোয়েন ৪৬ রান করেন। রিপন ৪টি ও খুশদিল ২টি উইকেট নেন। জবাবে ৪০ ওভারেই ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয় আবাহনী। নাঈম শেখ ৫৬, মাহমুদুল হাসান জয় ৬৭, এনামুল হক বিজয় ৩৩ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব ৩৩ রান করেন। রূপগঞ্জের মুক্তার আলী ৩টি উইকেট পান।
মিরপুরে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করতে নামা শেখ জামাল ৬ উইকেটে ২৭৬ রান করে। ম্যাচসেরা সাইফ হাসান ৮৩, ফজলে মাহমুদ রাব্বি ৩৭, নুরুল হাসান সোহান ৫৩ ও তৈবুর রহমান ৩০ রান করেন। প্রাইম ব্যাংকের কাশিফ ভাট ৩টি উইকেট নেন। জবাবে প্রান্তিক নওরোজ নাবিল ও শাহাদাত হোসেন দিপুর হাফ সেঞ্চুরির পরও চার বল বাকি থাকতে ২৬৩ রানে অলআউট হয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। শেখ জামালের শফিকুল ইসলাম ৩টি এবং পারভেজ রসুল ও সাইফ হাসান ২টি করে উইকেট পান।
ফতুল্লায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে ২৪০ রান তোলে মোহামেডান। আব্দুল মজিদ ৬৩, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৭৩ ও আরিফুল হক ৫৫ রান করেন। গাজী গ্রুপের টিপু সুলতান ৩টি এবং এনামুল হক ও জয়নাল ইসলাম ২টি করে উইকেট পান। লক্ষ্য তাড়ায় এক ওভার বাকি থাকতে ২২০ রানে থামে গাজী গ্রুপ। মেহেদী মারুফ ৪২ ও মেহরব হোসেন ৬৩ রান করেন। মোহামেডানের নাজমুল অপু, এনামুল হক জুনিয়র, মুশফিক হাসান ও খালেদ আহমেদ ২টি করে উইকেট পান।