শেখ জামালকে হারিয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধার আবাহনীর
শুরু থেকে শেষ; দুই দলের মধ্যেই কেবল লড়াই ছিলো শীর্ষস্থান দখলের, শেষ দিকে শিরোপার লড়াইও চলে এই দল দুটির মধ্যেই। লিগ পর্বে শেষ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের দখলে থাকে শীর্ষস্থান। সুপার লিগ পর্বে স্থানটা আবাহনীর লিমিটেডের দখলে চলে যায়। তবে রোমাঞ্চ টিকে থাকে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত। সুপার লিগের শেষ রাউন্ডে মুখোমুখি শেখ জামাল-আবাহনী, যারা জিতবে শিরোপা তাদের। এমন ম্যাচে শেষ হাসি হাসলো আবাহনী। যাদের কাছে শিরোপা খুইয়েছিল, সেই শেখ জামালকে হারিয়েই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা পুনরুদ্ধার করলো আবাহনী।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অলিখিত ফাইনালে রূপ নেওয়া ম্যাচে শেখ জামালকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী। টানা তিনবারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী গত আসরে শেখ জামালের কাছেই শিরোপা খোয়ায়। নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জেতে শেখ জামাল। পরের আসরে তাদেরকে হারিয়েই সেরার মুকুট জিতলো মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দল।
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদার আসরটিতে সর্বোচ্চ শিরোপা জিতেছে আবাহনী। এ নিয়ে ২২তম শিরোপা ঘরে তুললো ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। ২০১৩-১৪ মৌসুমে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ লিস্ট 'এ' মর্যাদা পাওয়ার পর পঞ্চম শিরোপা শিরোপা জিতলো আবাহনী। এর মধ্যে গত পাঁচ আসরের মধ্যেই চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দলটি।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে অপরাজিত দারুণ এক ইনিংসে শেখ জামালকে বড় সংগ্রহ এনে দেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। তৈবুর রহমানের মতো হাফ সেঞ্চুরি করতে না পারলেও ব্যাট হাতে অবদান রাখেন চলিশোর্ধ্ব ইনিংস খেলা ফজলে মাহমুদ রাব্বি ও পারভেজ রসুল। ৭ উইকেটে ২৮২ রান তোলে শেখ জামাল। জবাবে এনামুল হক বিজয় ও নাঈম শেখের ১৪৫ রানের উদ্বোধনী জুটির পর আফিফ হোসেন ধ্রুবর ব্যাটে চার বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে আবাহনী।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক নাঈম ও বিজয়। ২৬.২ ওভারে ১৪৫ রানের জুটি গড়েন তারা। বিজয় ৮১ বলে ৪টি করে চার ও ছক্বায় ৭২ রান করেন। তার বিদায়ের একটু পরই থামেন ৭৯ বলে ৩টি করে চার ও ছক্বায় ৬৮ রান করা নাঈম। জাকের আলী অনিক ভালো শুরুর পরও ২১ রান করে বিদায় নেন।
অধিনায়ক মোসাদ্দেক করেন ২২ রান। ৭ বলে ১২ রান করা তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান আফিফ। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ৫৩ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন। শেখ জামালের তৈবুর ও রসুল ২টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান আরিফ আহমেদ ও সাইফ হাসান।
এর আগে ব্যাটিং করা শেখ জামালের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন সোহান। ডানহাতি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ৭০ বলে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৮৯ রানের দারুণ ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। ফজলে মাহমুদ ৭০ বলে ৪০, তৈবুর ৮৫ বলে ৫০ ও রসুল ৩৭ বলে ৪২ রান করেন। জিয়াউর রহমানের ১৪ বলে একটি চার ও ৩টি ছক্কায় ২৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। আবাহনীর তানভীর ইসলাম ও তানজিম সাকিব ২টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান খুশদিল শাহ ও সাইফউদ্দিন।