আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলার রেট বেড়ে সর্বোচ্চ ১০৮.৫০ টাকা
এক সপ্তাহের মধ্যে আবার বেড়ে ইন্টারব্যাংক বা আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের রেট সর্বোচ্চ ১০৮.৫০ টাকায় উঠেছে। এক ব্যাংক অন্য ব্যাংকের কাছে যে রেটে ডলার বিক্রি করে সেটিকেই ইন্টারব্যাংক এক্সচেঞ্জ রেট বা আন্তঃব্যাংক লেনদেন বলে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত সোমবার সর্বনিম্ন ১০৭.২৬ টাকা ও সর্বোচ্চ ১০৮.৫০ টাকা রেটে আন্তঃব্যাংক ডলার কেনাবেচা হয়েছে। সর্বশেষ ৭ মে ডলারের রেট ১০৮ টাকায় উঠেছিল আন্তঃব্যাংকে। সোমবারের আগে এটিই ছিল এই মার্কেটের সর্বোচ্চ ডলার রেট।
ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, মূলত রেমিট্যান্সের রেট বাড়িয়ে দেওয়ায় আন্তঃব্যাংকে ডলারের রেট বেড়ে গেছে।
গত ৩০ এপ্রিল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) রেমিট্যান্সের ডলারের রেট ১ টাকা বাড়িয়ে ১০৮ টাকা করে। এর আগে প্রায় ৬ মাস রেমিট্যান্সের ডলারের রেট ১০৭ টাকা ছিল। যদিও মার্চ মাসে বেশি রেট দিয়েও রেমিট্যান্স এনেছে বেশকিছু ব্যাংক।
গতবছরের সেপ্টেম্বর থেকেই ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের এই দুইটি সংগঠন এক্সপোর্ট প্রসিড ও রেমিট্যান্সের ডলারের দাম নির্ধারণ করে দিচ্ছে।
নিয়ম অনুযায়ী, রেমিট্যান্সের ডলারের রেট থেকে সর্বোচ্চ ০.৫০ টাকা যোগ করে ডলার বিক্রি করা যায়। তবে ব্যাংকের হিসাবের খাতায় সেটিকে ফরেক্স গেইন হিসাবে দেখাতে পারে না ব্যাংকগুলো, বিভিন্ন চার্জ হিসাবে এই অতিরিক্ত টাকা নেওয়া যায়।
সে হিসাবে রেমিট্যান্সের ডলারের রেট বিবেচনায় ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ১০৮.৫০ টাকা রেট নিতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বেসরকারি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, রেমিট্যান্সের ডলারের রেটকে বেজ ধরলেও মার্কেটের এক্টিভ রেট থেকে এটি অনেক কম। এছাড়া ব্যাংকগুলোর হাতে পর্যাপ্ত ডলারও নেই। এসব কারণে আন্তঃব্যাংকে ডলারের লেনদেন অনেক কম। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ১.৫-২ মিলিয়ন ডলারের লেনদেন হয়।