নিরাপদ পানির অভাবে ৪১% মানুষ, বাজেটে ওয়াশ খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ওয়াটার, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ওয়াশ খাতে বরাদ্দ না বাড়ালে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বাধাগ্রস্থ হবে।
মঙ্গলবার (২৩ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলনে ওয়াটারএইড বাংলাদেশ, পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি), ইউনিসেফ বাংলাদেশ, ফ্রেশওয়াটার অ্যাকশন নেটওয়ার্ক সাউথ এশিয়া বাংলাদেশ, এফএসএম নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্ক, স্যানিটেশন অ্যান্ড ওয়াটার ফর অল, এন্ড ওয়াটার পোভার্টি, এমএইচএম প্ল্যাটফর্ম এবং ওয়াশ অ্যালায়েন্স ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন সংস্থা বাংলাদেশে নিরাপদ পানি এবং স্যানিটেশনের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জনসংখ্যার ৪১ শতাংশেরই এখনও পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপদ পানির সুবিধা নেই; ৬১ শতাংশের বাড়িতে নেই নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা।
মূল বক্তৃতায় পিপিআরসি চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, "জনসংখ্যার মাত্র ৫৯ শতাংশের নিরাপদ খাওয়ার পানি এবং ৩৯ শতাংশের নিরাপদ স্যানিটেশন সুবিধা রয়েছে।"
হোসেন জিল্লুর রহমান আসন্ন বাজেটে ওয়াশ সেক্টরের জন্য তহবিল বরাদ্দের অসমতা দূর করে কমিউনিটি সম্পৃক্ততার ওপর জোর দেন। বিশেষ করে, চরাঞ্চল, জলবায়ু পরবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল, হাওর এবং পাহাড়ি অঞ্চলের পাশাপাশি আন্তঃনগর বৈষম্য দূরীকরণে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
এছাড়া তিনি শতভাগ নিরাপদ পানীয় জল এবং নিরাপদ স্যানিটেশনের জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পদক্ষেপ নেওয়ার ওপরেও গুরুত্বারোপ করেন।
ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ওয়াশ সেক্টরে যে বরাদ্দ রাখা হয় এর বেশিরভাগই দেওয়া হয় শহর অঞ্চলে। একটি মনিটরিং এজেন্সি, প্রয়োজন যারা ওয়াশ সেক্টরের বরাদ্দ মনিটরিং করবে। উপকূলে প্রায় ৬৫ লাখ লোক বাস করেন, সেখানে অগ্রাধীকার ভিক্তিতে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া প্রয়োজন।
এছাড়াও, বিশেষজ্ঞরা ওয়াশ সেক্টরে পরিবেশগত সমস্যা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চলগুলোর ওপর বিশেষ মনোযোগ দিয়ে বৃহৎ পরিসরে নীতি গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন।
ওয়াটার এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহিন বলেন, উপকূলের মানুষের বিশুদ্ধ পানির জন্য নেচার বেজ সলুশনে যেতে হবে। লবণাক্ততার জন্য অনেক জায়গায় টিউবয়েলের পানিও পান করা যায় না। সেখানে পুকুরগুলো সংরক্ষণ করতে হবে, এর পানি পরিশোধন করে খবার জন্য টেকসই প্রকল্প নিতে হবে। প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে।