দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার ধারণা, ইনসমনিয়ায় ভুগছেন কিম জং উন
দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা বলেছে, উত্তর কোরিয়ার প্রধান নেতা কিম জং উন সম্ভবত ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন। ৩৯ বছর বয়সী এই নেতার ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীনতা থাকতে পারে বলে ধারণা করছে সংস্থাটি। এছাড়াও, কিম জং উনের অ্যালকোহল ও নিকোটিনের ওপর নির্ভরতা আগের চেয়ে খারাপ পর্যায়ে যাচ্ছে কিনা তা বোঝার জন্য তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে তারা। খবর ব্লুমবার্গের।
বুধবার (৩১ মে) ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (এনআইএস) আইনপ্রণেতাদের জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া কর্তৃপক্ষ ইনসমনিয়ার সমস্যায় ভুগছেন এমন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের বিদেশি চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করছে। ইনসমনিয়ার চিকিৎসায় জোলপিডেম-এর মতো বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহারের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছে তারা।
পরবর্তীতে দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টির একজন আইনপ্রণেতা এবং সংসদীয় গোয়েন্দা কমিটির নির্বাহী সচিব ইয়ু সাং-বাম সাংবাদিকদের সাথে এনআইএস ব্রিফিংয়ের বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করেন। আইনপ্রণেতারা সাধারণত বড় ধরনের নিরাপত্তা ইস্যুতে এনআইএস'কে ডাকেন প্রশ্ন করতে।
সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর কোরিয়া মার্লবোরো ও ডানহিলসহ প্রচুর পরিমাণ বিদেশি ব্র্যান্ডের সিগারেট আমদানি করেছে। সেইসঙ্গে তারা উচ্চমানের ও দামী স্ন্যাকসও আমদানি করেছে, যেগুলো সাধারণত অ্যালকোহলের সঙ্গে পরিবেশন করা হয় বলে জানিয়েছেন ইয়ু। তিনি আরও জানান, এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) বিশ্লেষণের মাধ্যমে দেখা গেছে, কিম জং উনের ওজন বর্তমানে ১৪০ কেজি (৩০০ পাউন্ড)।
এদিকে, কিম জং উন ক্ষমতায় আসার পর থেকে খাদ্যের ঘাটতি এবং শস্যের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং উত্তর কোরিয়ানদের দুর্দশা আরও বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন ইয়ু। একইসঙ্গে অপরাধ, আত্মহত্যা এবং অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে বলে তার ভাষ্য।
বুধবার সকালে কক্ষপথে একটি উপগ্রহ উৎক্ষেপণে ব্যর্থ হয়েছে উত্তর কোরিয়া; তবে শীঘ্রই পুনরায় চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সিউল সরকারের একটি ভুল জরুরী সতর্কতা জারির ফলে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা আইনপ্রণেতাদের বলেছে যে, কিম জং উন এই উপগ্রহ উৎক্ষেপণের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং স্যাটেলাইটটি শুধুমাত্র প্রাথমিক তথ্য উদ্ধার মিশনে সক্ষম।