৪২৫ ধরনের পণ্য আমদানিতে নিয়ন্ত্রক ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব
ট্যারিফ যৌক্তিকরণের অংশ হিসেবে ১৯১ ধরনের পোশাক পণ্য ও ২৩৪ ধরনের মাছ আমদানিতে বিদ্যমান নিয়ন্ত্রক ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করার প্রস্তাব এসেছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায়।
এর ফলে পোশাক আমদানির খরচ কিছুটা কমতে পারে। একই সঙ্গে মাছ আমদানির ব্যয়ও কমবে।
অবশ্য বর্তমানে এসব খাত থেকে তেমন রাজস্ব আদায় হয় না বলে এর ফলে রাজস্বে তেমন প্রভাব পড়বে না বলে ন্যাশনাল বোর্ড অব রেভিনিউ'র সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
বর্তমানে পোশাক পণ্য আমদানিতে ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রক শুল্ক ও মাছ আমদানিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক রয়েছে।
২০২৬ সালে বাংলাদেশ লিস্ট ডেভেলপড কান্ট্রি (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের আমমাদিনকৃত পণ্যে বিদ্যমান বিপুল পরিমাণ ট্যাক্স রাখা সম্ভব হবে না বলে বহুদিন ধরে আলোচনা চলছে। এর অংশ হিসেবে আমদানিকৃত পণ্যে শুল্ককর কমিয়ে আনার পরামর্শও বিভিন্ন পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে।
এনবিআর সূত্র জানিয়েছে, এরই অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবারের বাজেটে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭,৬১,৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার পঞ্চম এবং বাংলাদেশ সরকারের ৫২তম জাতীয় বাজেট।
এবারের বাজেটই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজেট। ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের জন্য তাজউদ্দীন আহমেদ প্রথম ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন করেছিলেন।
'উন্নয়নের দেড়দশক: স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে' শিরোনামে বাজেট বক্তৃতা দেন অর্থমন্ত্রী।
ব্যবসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে জনগণের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়ে এবারের বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।
নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নেবে সরকার।