দুই সপ্তাহের মধ্যে লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি হবে: নসরুল হামিদ
অর্থনৈতিক কারণে কয়লা, তেল ও গ্যাসের জোগান দিতে না পারায় বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানো যাচ্ছে না। এই প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
আজ রোববার (৪ জুন) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত দুই মাস ধরে আমরা চেষ্টা করছি, অচিরেই যেন এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। আমরা আশা করব আগামী ১০ থেকে ১৫ দিন সময়ের মধ্যে দ্রুত সম্ভব এখান থেকে বেরিয়ে আসতে। কারণ আমাদের কয়লার যোগান দিতে হচ্ছে, তেলের যোগান দিতে হচ্ছে, গ্যাসের যোগান দিতে হচ্ছে। আবার শিল্পে গ্যাস দিতে হচ্ছে। সমস্ত পরিস্থিতি একসাথে এসেছে। তাপ প্রবাহও বেড়ে গেছে। তাপমাত্রা কোথাও ৪১ ডিগ্রি হয়ে গেছে। এজন্য আমাদের পিক আওয়ারে চাহিদা বেড়ে গেছে। আমাদের হাতে যে পাওয়ার প্ল্যান্ট মজুত ছিল, বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য প্রস্তুত রাখছিলাম, সেটিও আমরা জ্বালানির কারণে চালু রাখতে পারছি না।
তিনি বলেন, এখন ২ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে। পরিস্থিতি যে অসহনীয় তা জানি। দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে। পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা কত তাড়াতাড়ি আনা যায় সেই চেষ্টা চলছে। আশা করি ১০/১৫ দিনের মধ্যে এ থেকে বেরিয়ে আসতে পারব। শিডিউল লোডশেডিংয়ে যাওয়ার চিন্তা আপাতত নেই। দুই সপ্তাহের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।
নসরুল হামিদ বলেন, আমরা দুই মাস আগে থেকে চেষ্টা করছিলাম। আমরা জানতাম যে এ রকম একটা পরিস্থিতি হতে পারে। সেটার সমাধান নিয়ে আমরা চেষ্টা করছিলাম। তবে আমাদের অনেক কিছু দেখতে হয়। আমাদের অর্থনৈতিক বিষয় আছে। সময়মতো এলসি খোলার বিষয়ে আছে। সময়মতো জ্বালানি পাওয়ার বিষয় আছে। সেই বিষয়গুলোকে আমাদের একসঙ্গে সমন্বয় করে নিতে হয়। তবে আশার বাণী হলো, সামাল দেওয়ার একটা ব্যবস্থা অন্তত হয়ে গেছে। সেজন্য আমাদের ১ থেকে ২ সপ্তাহ সময় দিতে হবে। সে সময় পর্যন্ত সবাইকে কিছুটা কষ্ট ভোগ করতে হবে।