বিদ্যুৎ সংকটের ব্যবচ্ছেদ
গত এক দশকের প্রাণান্তকর প্রচেষ্টার সুবাদে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের সব এলাকাকে বিদ্যুতের আওতায় আনার মাইলফলক অর্জন করে সরকার।
কিন্তু এই অর্জন উদযাপনের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হলো ইউক্রেন যুদ্ধ। এ যুদ্ধের প্রভাবে দেখা দিল জ্বালানি সরবরাহে বিঘ্ন। যার প্রভাব পড়েছে বিদ্যুৎ-সাফল্যের ওপর।
দেশে আজ নজিরবিহীন প্রায় ২,৫০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে, যা নব্বইয়ের দশকের শেষদিকে মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের সমান।
বিদ্যুৎ সংকটের কারণটা সোজাসাপটা। গ্যাস ও কয়লা আমদানির জন্য পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা নেই। ফলে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা যেখানে ২৪,১৪৩ মেগাওয়াট, শনিবার সেখানে এই সক্ষমতার অর্ধেকের চেয়ে কিছু বেশি কাজে লাগানো গেছে।
মোট ১৭০টি বিদ্যুৎ ইউনিটের মধ্যে শনিবার পূর্ণ সক্ষমতায় চলেছে মাত্র ৪৮টি, ৭৫টি চলেছে অর্ধেক সক্ষমতায়, এবং ৪৭টি ইউনিট অলস বসে ছিল।
অলস বসিয়ে রাখা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকেও ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে। এছাড়া এই কেন্দ্রগুলো স্থাপনেও মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়েছে। এ কারণে এর আর্থিক প্রভাব বিশাল।
অর্থ সংকটে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের ১৮ হাজার কোটি টাকার বিল পরিশোধ করা হয়নি।
উৎপাদন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ব্যবসায়ীরা বিদ্যুতের জন্য হাহাকার করছেন। লোডশেডিং আয় ও কর্মসংস্থান উভয়ের ওপরই নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। শিল্পের চাকা মন্থর হয়ে গেলে সরকারের রাজস্ব আয় কমে যায়; ফলে বাজেট ঘাটতি বাড়ে।
২০০৯ সাল থেকে আমদানি করা জ্বালানির ওপর দেশের নির্ভরতা অভূতপূর্বভাবে বেড়েছে। এর মূল কারণ হলো, তেমন গুরুত্ব দিয়ে নতুন তেল ও গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান করা হয়নি। কয়লাখনি উন্নয়ন বা বায়ুশক্তি অনুসন্ধানেও তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এই মাত্রাতিরিক্ত আমদানিনির্ভরতা এখন সরকারের ওপর ব্যাপক আর্থিক চাপ সৃষ্টি করেছে।
সরকার যদিও জ্বালানি ও অন্যান্য খাতের সব সমস্যার জন্য ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করছে, তবে বিশেষজ্ঞরা কিছু ভুল নীতি এবং বিদ্যুৎ খাতে কিছু ভালো নীতি বাস্তবায়নে ব্যর্থতাকেও দায়ী করছেন।
গ্যাস সংকট
দুই দশকের গ্যাস সংকটের সমাধান সরকার আরও ভালোভাবে করতে পারত। ২০০৯ সালেই গ্যাসের সংকট এত তীব্র হয়ে উঠেছিল যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং সার কারখানা হয় আংশিক চালু ছিল কিংবা একেবারেই চালু ছিল না।
এক দশক আগে সরকার যখন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করে গ্যাস সংকট মোকাবেলার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন মনে হয়েছিল যে এলএনজি বিদ্যমান ঘাটতি পূরণ করতে পারবে।
কিন্তু সরকার যখন ২০১৮ সালের এপ্রিলে এলএনজি আমদানি শুরু করে, ততদিনে বেশ কয়েকটি নতুন গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তিও স্বাক্ষর করে ফেলেছে।
ফলে বাংলাদেশে এলএনজি আসতে শুরু করলেও তা কখনোই ঘাটতি পুরোপুরি পূরণ করতে পারেনি। ইতিমধ্যে গ্যাসের চাহিদাও বেড়ে গিয়েছিল, কারণ সরকার কৌশলগতভাবে নতুন গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বা শিল্পের বিকাশ আটকে রাখেনি।
এর ফলে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো দুই দশক আগে যে গ্যাস সংকটে ভুগছিল, সেগুলো এখনও একই সংকটে ভুগছে।
এই সময়ে প্রায় ৯.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে কমপক্ষে নতুন ৩৭টি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। কেন্দ্রগুলো পূর্ণ গ্যাস সরবরাহের অপেক্ষায় আছে, যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বিনিয়োগের অর্থ তুলে আনতে পারে।
তেল-গ্যাস অনুসন্ধানেও এ সময় যথাযথ নজর দেওয়া হয়নি। দেশের নিজস্ব অনুসন্ধান কোম্পানি বাপেক্সকে শক্তিশালী করার ওপর কিছুটা জোর দেওয়া হলেও প্রতিষ্ঠানটির মালিক সংস্থা পেট্রোবাংলার নেতৃত্বের ব্যর্থতার কারণে পরিকল্পনাটি পুরোপুরি কার্যকর হয়নি।
উদাহরণস্বরূপ, ২০১০ সালে তৎকালীন পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান একটি সিসমিক জরিপের ভিত্তিতে নেত্রকোনায় একটি বড় গ্যাসক্ষেত্র 'আবিষ্কারের' ঘোষণা দিয়েছিলেন।
কিন্তু দুই বছর পর এই ক্ষেত্রটি খনন করে বাপেক্স কিছুই পায়নি। পেট্রোবাংলা পরে এরকম আরও গ্যাস আবিষ্কারের দাবি করেছিল, যা পরবর্তীতে মোট গ্যাস রিজার্ভে খুব বেশি যোগ করতে পারেনি।
বঙ্গোপসাগরে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিগুলোকে আকৃষ্ট করার কিছু প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। কয়েকটি তেল কোম্পানি বঙ্গোপসাগরের কিছু অংশে সিসমিক জরিপ ডেটা সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত হয়েছিল। তবে মাত্র একটি কোম্পানি গভীর সমুদ্রে খনন করার জন্য একটি সম্ভাব্য এলাকা চিহ্নিত করেছিল।
কিন্তু কোম্পানিটি তাদের শর্তাবলি নিয়ে পুনঃআলোচনা করতে চাইলে সরকার তাতে রাজি হয়নি। তখন কোম্পানিটি চলে যায়। এরপর থেকে বঙ্গোপসাগরে তেমন কোনো অনুসন্ধানই হয়নি।
আমদানিকৃত জ্বালানির ওপর নির্ভর করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) প্রধান সমন্বয়কারী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বর্তমান জ্বালানির মিশ্রণ গড়ে তোলা ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো বিকল্প ছিল না।
তিনি বলেন, 'আমাদের পর্যাপ্ত গ্যাস উৎপাদন ছিল না। আর উর্বর জমি, স্থানীয় মানুষদের পুনর্বাসন ও ভূগর্ভস্থ জলাধারের কারণে দেশের খনি থেকে কয়লাও উৎপাদন করতে পারিনি। তাই ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে এই উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হয়েছ।'
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০১০-১১ সালে দেশের ১৭টি গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন গড়ে ১,৯৪১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস (এমএমসিএফ) উৎপাদিত হতো।
২০২০ সাল নাগাদ গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা বেড়ে ২৭টি হয়। তখন দেশের দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ২,৭০০ এমএমসিএফে উন্নীত হয়—এরপর এখন তা প্রায় ২,১০০ এমএমসিএফে নেমে এসেছে।
বাংলাদেশ এলএনজি আকারে দৈনিক প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ এমএমসিএফ গ্যাস আমদানি করে। কিন্তু দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৩,৭০০ এমএমসিএফ।
কয়লা
সরকার যখন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে, তখন কিছুটা ভিন্ন হলেও একই পরিণতি হয়। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত সরকার ৪,২৩০ মেগাওয়াট সক্ষমতার চারটি কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে; আরও কয়েকটি প্রকল্প চলমান রয়েছে।
নিজস্ব কয়লা উৎপাদন না বাড়িয়ে সরকার আমদানি করা কয়লার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে—অর্থাৎ খরচ হয়ে যায় বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা।
বাংলাদেশে পাঁচটি কয়লাক্ষেত্র আছে। ক্ষেত্রগুলোতে আনুমানিক ২ বিলিয়ন টন কয়লার মজুত রয়েছে।
এর মধ্যে বড়পুকুরিয়ায় একটিমাত্র খনি উন্নয়ন করা হয়েছে—সেখানে ৩৯০ মিলিয়ন টন কয়লা রয়েছে। কিন্তু ভূগর্ভে মাইনিং করায় এখান থেকে এখনও পর্যন্ত মাত্র ১৩ মিলিয়ন টন কয়লা উৎপাদন করা গেছে, যা মূলত খনি এলাকায় প্রায় ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।
২০১০ সালে সরকার এ খনির একটি অংশকে উন্মুক্ত 'পিট মাইন'-এ পরিণত করার কথা ভেবেছিল, কিন্তু পরিবেশগত উদ্বেগের জন্য এই চিন্তা বাদ দেওয়া হয়।
তবে বিদ্যমান খনিটির কারণে ৩০০ একরের বেশি জমি তলিয়ে গিয়ে জলাশয়ে পরিণত হয়েছে এবং অন্যান্য পরিবেশগত বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ এই প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবেশ বাঁচাতে পারেনি, অর্থনৈতিকভাবেও খুব একটা লাভবান হতে পারেনি।
দেশের অন্যান্য কয়লাক্ষেত্রগুলো অনুসন্ধান ও উন্নয়নেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে এ সময় সরকার বেশ কয়েকটি বিশাল কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পে স্বাক্ষর করেছে যেগুলোর জন্য প্রতি বছর বিলিয়ন ডলার মূল্যের কয়লা আমদানি করতে হবে।
নবায়নযোগ্য শক্তি
সরকার ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অবকাঠামো নির্মাণের জন্য আগ্রাসী প্রচেষ্টা শুরু করে। কয়েক বছরের মধ্যেই ভবিষ্যতের জ্বালানি নিরাপত্তার কথা ভেবে ২০২১ সাল নাগাদ মোট জ্বালানি মিশ্রণে ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য শক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সরকার।
এই লক্ষ্যটি খুব ভালো ছিল। একবার নবায়নযোগ্য শক্তির অবকাঠামো তৈরি হয়ে গেলে সরকারকে আর কোনো আমদানি করা বা স্থানীয় জ্বালানি সরবরাহের ওপর নির্ভর করতে হতো না।
কিন্তু সরকার এই নীতি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে।
২০২১ সালে মোট জ্বালানি মিশ্রণে নবায়নযোগ্য শক্তির হিস্যা ৩ শতাংশেরও কম ছিল। বৃহৎ জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্প নির্মাণের ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে, অন্যদিকে সবুজ শক্তির দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে খুব কম।
এর আগে ২০১৭ সালে ন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি ল্যাবরেটরি-র এক গবেষণায় বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের বাতাসের গতিবেগ সেকেন্ডে ৫.৭৫-৭.৭৫ মিটার। এই বাতাস থেকে প্রতিদিন ৩০,০০০ মেগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।
প্রাক্কলন করা হয়েছে, ২০৩০ সাল নাগাদ ১,৩৭০ মেগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। এই সম্ভাবনা বাংলাদেশ আরও অনেক আগেই কাজে লাগাতে পারত।
বিদ্যুৎ আমদানি
নব্বইয়ের দশক থেকেই ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে সস্তায় বিদ্যুৎ আমদানির চিন্তা ছিল।
তবে চিন্তাটিকে বাস্তব রূপ দেয় বর্তমান সরকার, ২০১৩ সালে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির মাধ্যমে। সস্তা না হলেও, এই বিদ্যুতের দাম যৌক্তিক। আর এতে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তাও বেড়েছে।
তবে এ বছরের শুরুর দিকে সরকার ভারতের আদানি গোষ্ঠীর কাছ থেকে এমন এক চুক্তির আওতায় বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করে যা নিয়ে আগে কখনও প্রকাশ্যে আলোচনা হয়নি।
এই চুক্তিটি এতটাই আদানির পক্ষে যে এটি বাংলাদেশকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এক্সটার্নাল ডেবট (বিডব্লিউজিইডি) ও ভারতের গ্রোথওয়াচ-এর এক যৌথ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, আদানির গোড্ডা ১,৬০০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে কেন্দ্রটির ২৫ বছরের আয়ুষ্কালে ১,৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য বাংলাদেশ প্রায় ১১.০১ বিলিয়ন ডলার দেবে।
তাদের হিসাব অনুযায়ী, বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) আওতায় আদানি গ্রুপকে যে অর্থ দেওয়া হচ্ছে তা দিয়ে বাংলাদেশ তিনটি পদ্মা সেতু, নয়টি কর্ণফুলী টানেল বা চারটি মেট্রোরেল নির্মাণ করতে পারে।
এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে সস্তার জল বা অন্যান্য নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ কেনার প্রাথমিক চিন্তা থেকে সরে এসেছে এবং নিজের ওপর দীর্ঘমেয়াদি বোঝা তৈরি করেছে।
চলমান বিদ্যুৎ সংকটে শহর ও গ্রামাঞ্চলে জনজীবন ক্রমেই অসহনীয় হয়ে উঠছে। কোনো কোনো এলাকায় তো প্রতি এক-দুই ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং হচ্ছে।
এই পরিস্থিতি বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার ভোক্তাদের জন্য, বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের জন্য অসহনীয়। অসহ্য গরমের মধ্যে দীর্ঘ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে অস্বস্তিতে পড়ে তারা।
বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল ব্যবসা ও পরিষেবাগুলো ব্যাহত হচ্ছে। বাধ্য হয়ে দোকানপাট ও বাজার স্বাভাবিকে সময়ের আগে বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। তাছাড়া লোডশেডিংয়ের কারণে গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন শহরে পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ অবশ্য বলেন, এই সংকট সাময়িক।
তিনি বলেন, 'আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা যে জ্বালানি মিশ্রণের ওর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে, তা পর্যাপ্ত। ডলার সংকট নিয়ন্ত্রণে এলেই বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতি হবে।'
তবে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য খালেদ মাহমুদ বাপেক্সকে শক্তিশালী করার সুপারিশ করেন, যাতে স্থানীয় গ্যাস উৎপাদন পরিস্থিতির উন্নতি হয়। পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের প্রতি গ্যাস আমদানি না করে স্থানীয় খনি থেকে কয়লা উৎপাদনের আহ্বান জানান তিনি।
সরকারকে গ্যাস ও কয়লার মতো প্রাথমিক জ্বালানির স্থানীয় উৎস ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এসডিজির প্রধান সমন্বয়কারী ও বিদ্যুৎ বিভাগের সাবেক সচিব আবুল কালাম আজাদ। সরকারি-বেসরকারি অফিস ও শিল্প ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শও দেন তিনি সরকারকে।